পালিয়ে যাওয়া কয়েদিরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গার নজরুল ইসলাম মজনু, নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দির আমির হোসেন, বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র
আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার ফরিদ শেখ।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৬ মিনিটে খবর পাই, বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত চার কয়েদি পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় এ বিষয়ে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা পুলিশ। এতে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, কয়েদিদের পলায়নের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বগুড়া সদর থানার অধীনে বেশ কয়েকটি টিম নিযুক্ত করা হয়। ঘটনার পরপরই কারাগারটিকে কেন্দ্র করে এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ঘিরে ফেলে বগুড়া জেলা পুলিশের চৌকস একটি দল। এ সময় এসআই খোরশেদ বগুড়া সদর থানা থেকে কিছু দূরের চাষীবাজারে চারজন লোককে দেখেন। তাদের গা খালি থাকলেও পরনে কয়েদির পাজামা দেখে তিনি নিশ্চিত হন যে, তারাই কারাগার থেকে পালিয়েছেন। এরপর তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসামিদের ধরে ফেলেন। ধরার পরপরই চার আসামিকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে বগুড়া কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন কথা না বলেই জেলগেট থেকে সাংবাদিকদের রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। কারা সূত্রে জানা গেছে, ডিআইজি প্রিজনকে প্রধান করে কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Leave a Reply