কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জে মন্দির ভাংচুরকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিচ্ছে এলাকাবাসী। এর আগে গত বুধবার রাতে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের দিঘিরপাড় এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দূর্গা মন্দিরে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনে দিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা দলিল লেখক সমির চন্দ্র ঘোষ। অন্যদিকে একই এলাকার বিপুল চন্দ্র ও তার পরিবারের অভিযোগ সমির নিজেই তাদের বাড়ীঘর ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে।
শনিবার সকালে ঐ এলাকায় গিয়ে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সমির ঘোষ ও বিপুল চন্দ্রের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। এনিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝামেলাও হয়েছে। নিজেদের পূর্ব শত্রুতা মন্দির ভাংচুর পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে বলে দাবী করছে এলাকাবাসী।
সমির চন্দ্র ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন রাতে আমাদের এলাকার লোহার ব্রীজের পাশে সোহাগ মজুমদারের সাউন্ড সিস্টেমে দোকানে উচ্চস্বরে গান বাজানো হচ্ছিলো। আমি তাদের গান বাজাতে নিষেধ করে বাসায় চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পরেই বিপুল চন্দ্রের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র, হকিস্টিক ও লাঠিসহ সদলবলে আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তারা মন্দির ও বসত ঘরের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। তাদের বাধা দিতে গেলে আমার ভাই প্রসেনজিৎ ঘোষের উপর হামলা চালায় এতে প্রসেনজিতের হাতে কোপ লাগে।
এদিকে বিপুল চন্দ্র মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, সমির ঘোষ সব সময়ই মাদকাসক্ত থাকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলাও রয়েছে। মন্দির ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ভিত্তিহীন। তাদের বাড়ীতে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা যদি হামলা করি তাহলেতো আমাদের ছবি তাদের ক্যামেরায় থাকবে। সেটা দেখাতে বলেন। তিনি আরো বলেন, সমিরের সাথে আমার জমি নিয়ে বিরোধ আছে। সেই বিরোধের জেরে আমাদের ফাঁসানোর জন্য সে নিজেই নিজেদের বাড়ীর মন্দির ভেঙে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দিচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, এঘটনায় উভয়পক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা দুটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।
Leave a Reply