ডেস্ক নিউজ: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পোষ্টার লাগানোর জের ধরে প্রতিদ্বন্ধী এক প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরসহ আনন্দ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক দেবাশীষ ঘোষ জয়ের দিকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিবালয় ডাক্তারখানার সামনে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খানের অনুসারীরা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। গুলি ছোড়া ও বিস্ফোরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দফায় দফা বিক্ষোভ মিছিল চলে।
শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটা থেকে শুরু হওয়া সড়ক অবরোধ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত চলতে থাকে। এই অভিযোগের তীর বর্তমান উপজেলা চেয়রম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানুর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম রহমান খান রনি ও তার ভাতিজা আরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্তাকিম রহমান খান অনিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক জয় ঘোষ সন্ধায় শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের আস্বস্থ করলে বিক্ষোভকারীরা সড়কের অবরোধ তুলে নেয়। দীর্ঘ সময় অবরোধে আটকা পড়া যানবাহনের যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকরা দুর্ভোগে পড়েন।
এদিকে গুলি ছোঁড়া অভিযোগের বিষয়ে ফাহিম রহমান খান রনি সাংবাদিকদের কাছে তা অস্বিকার করে বলেছেন, তার পিতা (রেজাউর রহমান জানুর) নির্বাচনী পোষ্টার লাগানোর কাজে নিয়োজিত ছেলেদের কয়েক জনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় রহিম খানের সমর্থরা ওই ছেলেদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ খবরে আমি সেখানে ছুটে যাই। তবে সেখানে কোন গুলি বা নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে শিবালয়ের বোয়ালী ডাক্তারখানা এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আব্দুর রহিম খানের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পের চেয়ার ভাংচুর ও সাংবাদিক জয় ঘোষের উপর পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন অপর প্রার্থী রেজাউর রহমান খানের ছেলে ফাহিম রহমান খান রনি ও তার ভাহিজা অনিক চেয়ারম্যান।
এ সময় রহিম খানের সমর্থক সাংবাদিক জয় ঘোষকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড পিস্তলের গুলি বর্ষণ করেন তিনি। স্থানীয়রা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও শিবালয় থানা পুলিশ বলছে অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার হবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে শিবালয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার সাংবাদিকদের জানান, এঘটনায় ভুক্তভোগী জয় ঘোষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply