বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। ছেলে পুন্যকে নিয়েই এখন শত ব্যস্ততা নায়িকার। এপার-ওপার দুই বাংলায় সিনেমা নিয়ে কাজ করলেও একমাত্র ছেলেকে সময় দেয়া থেকে বাদ যান না এ অভিনেত্রী।
ছেলে পুণ্যের ইতোমধ্যে একবছর হয়েছে। একমাত্র ছেলের প্রথম জন্মবার্ষিকী বেশ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে পালন করেছেন পরীমণি। এরপর অবশ্য ব্যক্তিজীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। তবে বিচ্ছেদ হলেও সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ছেলেকে নিয়ে বেশ ভালো রয়েছেন এ নায়িকা।
পুত্রসন্তানের মা হওয়ার পর এ নায়িকা আরও একটি সুখবর দিলেন। এবার কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন পরীমণি। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে দেয়া এক লেখায় এমনটাই জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
পরীমণি লিখেছেন, ‘আমার মেয়ে এল ঘরে। আমার মেয়ে, সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ছ’দিন হল ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে।’
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হল আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনও দিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এল। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো…আর কিছু দিন যাক।’
তিনি লিখেছেন, ‘ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরি ‘প্রীতিলতা’র কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে। আপাতত ‘রঙ্গিলা কিতাব’-এর কাজ করছি। এটা হইচই-এর জন্য আমার প্রথম কাজ। এখন আরও বেশি করে কাজে মন দেব। এমন কাজ করতে চাই যাতে আমার ছেলে আর মেয়ে যেন তাদের মাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।’
পরীমণি লিখেছেন, ‘আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এসব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে একদিকে ছেলে আর একদিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি, তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।’
Leave a Reply