কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মধু সিটি এলাকায় গত ১৪এপ্রিল নববর্ষের দিনে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসে এক তরুনী (১৯) গণধর্ষণের শিকার হয়। পরে ওই তরুণী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ ৫ যুবককে গ্ৰেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: মিলন (২৩), মাসুম (২৫), শহিদুল ইসলাম (২১), রাহাত (১৮) ও সোহাগ আলম (২০)।
পহেলা বৈশাখে বন্ধুর সাথে ঘুরতে এসে অজ্ঞাতনামা আসামীদের দ্বারা গণধর্ষণের স্বীকার তরুণী।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাবুদ্দিন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে ঐ তরুনী তার বন্ধু সিজান ও রিজভী কে নিয়ে কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচরে মধুসিটিতে ঘুরতে যায়। হাউজিংয়ের ভিতর ফাঁকা জায়গায় বসে নাদিয়া তার বন্ধুদের সাথে ছবি তোলার সময় অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন আসামী বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করতে থাকে। একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অপরিচিত কয়েক যুবক ঐ তরুনী ও তার বন্ধুদের টানা হেচড়া করে হাউজিংয়ের আরও ভিতরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সিজান ও রিজভীকে আটক করে এলোপাথারী কিলঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। ঐ যুবকরা তরুণীকে জোরপূর্বক হাউজিংয়ের উত্তর-দক্ষিণ মুখী রাস্তার পূর্ব-পশ্চিম রোডের খালের উত্তর পাশের ৩য় তম ইটের সীমানা প্রাচীর বেষ্ঠিত প্লটের বাউন্ডারির ভিতরে নিয়ে যায়। পরে ৩ যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক জামা কাপড় খুলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় বাহিরে অন্যান্য আসামীরা পাহারা দিতে থাকে। এসময় ঐ তরুনী ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও তাহাদের মোবাইলগুলো নিয়ে যায় এবং কাউকে জানাইলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে গণধর্ষণের ঘটনায় ঐ তরুনী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ এর সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য ঘটনাস্থল ও এর আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে জনাব শাহাবুদ্দিন কবীর, বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরানীগঞ্জ সার্কেল এর দিক-নির্দেশনায় এবং মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল এর তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মুন্সী আশিকুর রহমান ও এসআই (নিঃ) অলক কুমার দে এবং এসআই (নিঃ) রিয়াজ দের একটি চৌকষ আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম প্রয়োগ করে কেরানীগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ২৪ ঘন্টা ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে এই গণধর্ষণ মামলার ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্ৰেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
Leave a Reply