মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্দা গ্রামের সাত বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে ১৪ বছরের এক কিশোর। গতকাল দুপুরে আদালতে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে কিশোর। তার নাম সিফাত হোসেন শাকিল।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, শাকিল ও কন্যা শিশুর বাড়ি পাশাপাশি এবং পরস্পরের খেলার সাথী। ২১ মে বিকাল ৩টার দিকে শাকিল খেলার কথা বলে মশশুটিকে চকের মাঝখানে একটি কাঠবাগানে নিয়ে যায়। বাগানের আশপাশে কেউ না থাকায় তাকে ধর্ষণ করে শাকিল।এ ঘটনা সবাইকে বলে দেবে শোনার পর শাকিল গলা চেপে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এর পর গামছা দিয়ে একটি মেহগনি গাছের চারার সঙ্গে গলা বেঁধে রাখে এবং লাশ গুম করতে শুকনো পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। এসময় শিশুটির কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও গলায় রূপার চেইন নিয়ে যায় শাকিল। একদিন পর সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গত ২২ মে শিশুর নানা আবদুল বারেক মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এর পর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে শিশুটির খেলার সাথী শাকিলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে শাকিল প্রথমে পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। গতকাল দুপুরে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমনট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠানো হলে সেখানে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। শাকিলকে গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply