কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): বুড়িগঙ্গায় দুই লঞ্চের প্রতিযোগিতার মাঝখানে পড়ে খেয়া পারাপারের নৌকাডুবির ঘটনায় সাদেক মিয়া (৩৫) নামের আরো এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। এ নিয়ে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে মোট তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় লাশটি লঞ্চের পাখার সাথে লেগে ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। নিহত সাদেক মিয়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার সনমান্ধি এলাকায় মসুরাকান্দি গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে। সে মোগড়াপাড়ায় আম্বিয়া টাওয়ারের বিসমিল্লাহ বোরকা হাউজের মালিক ছিল।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার
সোমবার(২৫ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আগানগর ছোট মসজিদ ঘাট এলাকা থেকে বুড়িগঙ্গায় ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে নৌ পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই শফিক মিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ পোশাক পল্লী থেকে পাইকারি বোরকা কিনে ফেরার পথে নদী পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে সাদেক মিয়া বাসায় না ফিরে নিখোঁজ থাকার পর তারা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে থানায় জিডি করার পাশাপাশি নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করে। আজ দুপুরে পুলিশ লাশটি উদ্ধারের পরে হাসপাতালে মর্গে গিয়ে তারা নিহতের লাশ শনাক্ত করে।
সদরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ আব্দুস সোবহান মিয়া জানান, নৌ দুর্ঘটনার পরে নিহতের আত্মীয়-স্বজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা নদীতে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছি। তবে সে সময় নিহত কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল দুজন নিহতের লাশ আমরা উদ্ধার করেছি আজ সর্বশেষ সাদেক মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য: এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদরঘাট থেকে এমভি কুয়াকাটা -১ ও এ আর খান -১ নামের লঞ্চ দুটি ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রতিযোগিতার মাঝখানে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় রবিবার সকালে রহমান সাহেবের ডক-ইয়ার্ড এলাকা থেকে সেলিম সিকদার ও দুপুরে ইকবাল হোসেনের ডক-ইয়ার্ড এলাকা থেকে আতাউর রহমান আবিরের লাশ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ।
Leave a Reply