কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : অবশেষে কারামুক্ত হলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস । সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলার সবকটিতে জামিন পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে তিনি মুক্ত হয়ে বের হয়ে আসেন। সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাসের ১১টি মামলায় জামিন হয়েছে। জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পর নিয়ম অনুযায়ী তাকে সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেওলয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গেল বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে করা ১১টি মামলার সবগুলোতে জামিন মেলায় আজই কারামুক্ত হলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
বেলা তিনটায় ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিনের আদালত মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন শারিরিক অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় জামিনের আবেদন জানায় তার আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী। এসময় জামিনের বিরোধিতা করে যুক্তি তুলে ধরেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দুই হাজার টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বিকেল ৫টার মধ্যে জামিননামা কারাগারে পৌছালেই কারামুক্ত হন তিনি। গেল বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৪ জানুয়ারি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেওলয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসের পল্টন থানার পাঁচ এবং রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানার চার ও রমনা মডেল থানার দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি শাহজাহান পুর, পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক আরও তিন মামলায় এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রমনা থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন পান তিনি।
Leave a Reply