সুনামগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুরাতন খোয়াই নদীকে দূষণ ও দখলমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পরদিনই নিজ উদ্যোগে তার কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে নদীতে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে কাজ শুরু করেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সেই কাজে যোগ দেন ব্যারিস্টার সুমনসহ সারাদেশ থেকে আসা বিডি ক্লিনের সাড়ে ৬শ সদস্য। বিকেলে নদী পরিষ্কার শেষে নৌকা দিয়ে মাঝ নদীতে যান তিনি। এরপর নৌকা থেকে লাফ দিয়ে সাঁতরে তীরে আসেন।
হবিগঞ্জ-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল যে, শপথ নেওয়ার পর আমার প্রথম কাজ হবে খোয়াই নদীর ময়লা পরিষ্কার করা। এরই অংশ হিসেবে আমরা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলাকে পর্যটন এলাকা বানাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুনারুঘাট শহরকে বড় করতে ৭০ এর দশকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এক কিলোমিটার দূরে স্থানান্তরিত করা হয় মূল খোয়াই নদী। এরপর থেকে শহরের পাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার নদী পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সময়ের ব্যবধানে দখল আর দূষণে অস্থিত্ব সংকটে পরে নদীটি। নদীটি পরিষ্কারের পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে। পরবর্তীতের সেখানে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণের প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ব্যারিস্টার সুমনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের এই কার্যক্রমে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।
Leave a Reply