কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জে দু’দিনের ব্যবধানে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ চার গ্রামে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর চারটায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি অধ্যাপক শাহজাহান হাফিজ এর বাড়িতে ঘটনা ঘটে।
চার বাড়িতে একই স্টাইলে বাড়ির পিছনে গ্রীল কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এই ঘটনার খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন ।
বাড়ির মালিক অধ্যাপক শাহজাহান হাফিজ বলেন, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বাড়ির দ্বিতীয় তলার জানালার গ্রিল কেটে আট- দশ জনের একটি ডাকাত দল বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে নগদ। ডাকাতদলটি দেড় লাখ টাকা, আনুমানিক সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় । এছাড়া বাড়ির লোকজনদেরকে একটি ঘরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চারটি কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে । ডাকাতদলটি যাওয়ার বাড়ির লোকজনকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময়ে তাদের সাথে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে বাড়ির লোকজন ।
এছাড়া গত ১৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে কেরানীগঞ্জে তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার গোয়ালখালি এবং বাস্তা এলাকায় মোঃ আউয়াল, মোহাম্মদ জসিম ও মোহাম্মদ রিয়াজ মাস্টারের বাড়িতে। গোয়ালখালী গ্রামের ভুক্তভোগী মোঃ আউয়াল জানান, গভীর রাতে ২০ / ২৫ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত জোরপূর্বক তার বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরে ডাকাতরা একই গ্রামের জসীমউদ্দীনের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একই রাতে বোয়ালখালী গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বাস্তার টিলাবাড়ি গ্রামে জৈনক রিয়াজ মাস্টারের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা রিয়াজ মাস্টারের ছোট ভাইয়ের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়ে ঘরে সবাইকে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখায়। পরে ডাকাতরা ঘরের আলমারি কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, শীত কালে ডাকাতরা একটু উৎপাত করে থাকে। আজকের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। আশা রাখি অতি শিগ্রই সব ডাতাককে গ্রেপ্তার করে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।
এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধার ছেলে সাহরিয়ার বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি ডাতাতি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
Leave a Reply