দেশে করোনা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। ঈদে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঢাকা থেকে জেলাগুলোয় বিপুলসংখ্যক মানুষের চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে, বলছেন তারা। সংক্রমণ রোধে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার পরামর্শ তাদের। এদিকে, ভারতের সাথে সীমান্ত খুলে দেয়ায় আট জেলায় বেড়েছে সংক্রমণ ঝুঁকি।
কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা জানান, করোনা লকডাউনের মধ্যেই ঈদ করতে ঢাকা ছাড়েন লাখ লাখ মানুষ। ছুটি শেষে কর্মক্ষেত্রে ফিরছেন তারা। যাত্রাপথে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। গত ১০ দিনে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলাফল দেখা যাবে এ মাসের শেষে। বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ। গত বছরও ঈদের পরে শনাক্তের হার বেড়েছিল তিনগুণ।
জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ভয়াবহতম মাস ছিল এপ্রিল। মে মাসে এসে সংক্রমণের হার নামে দশের নিচে। কমেছে মৃত্যুও। তবে সংক্রমণ বাড়লে বা ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে।
তিনি আরো জানান, সীমান্তের ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। এরমধ্যেই খোলা হয়েছে কয়েকটি সীমান্ত।অনানুষ্ঠানিক চলাচলের কারণে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে পারে। তাই সীমান্তের আট জেলা আছে উচ্চ ঝুকিতে।
সংক্রমণ রোধে ঢাকায় বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলতে পুলিশ বাহিনীকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে বললেন বিশেষজ্ঞরা। আর জেলাগুলোয় মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগানোর পরামর্শ তাদের।
Leave a Reply