কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জে মুরগী চুরির ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে খুন হয় আরিফ (২০) নিহতের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো প্রধান আসামী নাজমুল (২০), নাজমুলের মা নাজমা আক্তার নুপুর (৪০), ও পারভেজ (৫১)।
শনিবার ভোরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানাধীন মালিগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আদালতের কাছে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় নাজমুল। শনিবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান।
মাসুদুর রহমান জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ কাঁচাবাজার এলাকায় আসলাম শিকদারের সিএনজি গ্যারেজের সামনে নাজমুলকে বুকে ছুরিকাঘাত করে নাজমুল। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় শুক্রবার মধ্যরাতে নাজমুলের বাবা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শনিবার ভোরে এজাহার নামীয় ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়, আসামী নাজমুল ও সিএনজি চালক সবুজ সম্প্রতি একটি চায়না মুরগী চুরি করে। সেটি বিক্রির টাকা সবুজকে না দিয়ে নাজমুল একাই আত্মসাৎ করে। মুরগী বিক্রির টাকা ভাগ না পেয়ে সবুজ বিষয়টি ভিকটিম আরিফ ও তার বন্ধু হাসানকে জানায়। ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে জুরাইন এলাকায় নাজমুলকে পেয়ে মুরগী চুরির টাকার ভাগ ফেরত দিতে বলে আরিফ ও হাসান। নাজমুল তাৎক্ষনিক টাকা দিতে না পারায় তার মোবাইলটি বন্ধক রেখে যায়। নাজমুল সন্ধ্যায় আরিফ ও হাসানকে হাসনাবাদে আসতে বলে। তখন টাকা ফেরত দিয়ে সে তার মোবাইল ছাড়িয়ে নিবে বলে জানায়। ওইদিন রাত ৯ টার দিকে সিএনজি চালক সবুজের গাড়ীতে চড়ে ভিকটিম আরিফ, হাসান ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা তাদের গাড়ীর গতিরোধ করে থামায়। এসময় নাজমুল ছরি দিয়ে আরিফের বুকে ও হাসানের ডান পায়ের হাঁটুতে আঘাত করে। নাজমুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এরশাদ হোসেন/নিজস্ব প্রতিবেদক
Leave a Reply