নিজস্ব প্রতিবেদক: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংবিধান প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ পদ্ধতিটা বিএনপি নষ্ট করেছে। তারা তাদের মন মত সরকার বসানোর জন্য উচ্চ আদালতের জজের বয়স বাড়ানো থেকে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা করেছিল, নান ধরণের অপকর্ম তারা করেছে। কোনটাই কাজে লাগেনি। কারণ জনগণ এটা মেনে নেয়নি।’
শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আজ শনিবার ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সংস্করণের ওয়েবসাইটে এ সাক্ষাৎকারের ভিডিও পোস্ট করা হয়।
শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করা হয়-বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলগুলো একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। আর আপনারা বলছেন যে, সংবিধানে এর সুযোগ নেই। কিন্তু সংবিধান সংশোধন করার মত প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংসদের আপনাদের রয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ কি আপনারা নেবেন বা বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনায় যাবেন?
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই তত্ত্বাবধায়কের জন্য বিএনপি যখন ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে তখনই আমরা আন্দোলন করেছিলাম। ওই যে, ভোট চুরি যখন করে তখন। তখনই কিন্তু জনগণ ওইটা চাচ্ছিল। তখন বিনএপির নেত্রী বলেছিল “পাগল এবং শিশু ছাড়া কেউ নাকি নিরপেক্ষ নাই”। এটা তাদেরই কথা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনেতো নির্বাচন হয়েছিল ২০০৮ সালে। কারণ বিএনপি ২০০১ থেকে ২০০৬ এ জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, মানিলন্ডারিং, যত রকমের অপকর্ম ছিল তার করণেই বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি ডিকলার হয়। তখন কিন্তু এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে। দুই বছর কিন্তু তারা নির্বাচন দেয়নি। বরং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তারপর যখন ২০০৮ এ নির্বাচন হলো সেই নির্বাচনটাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনেই হয়। সেই নির্বাচনে বিএনপি কয়টা সিট পেয়েছিল?৩০০ সিট আমাদের, বিএনপির নেতৃত্বে জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোট সিট পেয়েছিল মাত্র ২৯টি। পরে রিইলেকশনে একটা। তাদের অবস্থানটা ওই জায়গায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনেই তাদের এই অবস্থা। যার জন্য তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে এবং সেটা বানচাল করতে অগ্নিসন্ত্রাস করে।’
প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ তাদের এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি কেন? প্রশ্ন হচ্ছে যে- তাদের নেতাটা কে? মানুষ ভোট দেবে কাকে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ একজন নেতৃত্ব দেখতে চায়। বিএনপি কি তেমন কাউকে সামনে আনতে পেরেছে? যাকে নিয়ে তারা নির্বাচন করবে! বিএনপি-জামায়াত সহ তাদের ২০ দলীয় জোট আছে, এই পর্যন্তই। কিন্তু নেতৃত্ব কোথায়?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন, এটা হচ্ছে জনগণের ভোটের অধিকার। যখন ২০০৭ সালে ইমার্জেন্সি ঘোষণা হলো, এরপর কিন্তু উচ্চ আদালতে রায় ছিল যে, বাংলাদেশে আর কোন অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। একটা নির্বাচিত সরকারের পরিবর্তে আরেকটা নির্বাচিত সরকারই আসতে হবে।’
A/📰🗞️
Leave a Reply