কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে ২০২২ সালে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকের সাথে মিলে হাতুড়ি পেটা করে হত্যা মামলার পলাতক আসামি উর্মি আক্তার’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
এরপর ঐদিন সকাল ৬ টার দিকে ইমরান এসে মারুফের ঘরে প্রবেশ করে। তার কিছুক্ষণ পর উর্মি ও ইমরান দুজনে মিলে তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক শক্ত হাতুড়ি দিয়ে মারুফের মাথায় সজোরে আঘাত করে। যার ফলে মারুফ ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরন করেন। উক্ত ঘটনার পর উর্মি ও ইমরান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রক্তমাখা জামাকাপড় পাশের ডোবার পানিতে ফেলে দিয়ে দুজনই ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর মৃত মারুফের পরিবারের লোকজন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মারুফের স্ত্রী উর্মি ও উর্মির পরকিয়া প্রেমিক ইমরানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলার ভিত্তিতে পুলিশ উর্মি ও ইমরানকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উর্মি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
সে ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-১০ পলাতক আসামি উর্মিকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরপর গতকাল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার কদমতলী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর পরকীয়ার জেরে স্বামীকে নৃসংশভাবে হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি উর্মি’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply