সম্প্রতি অপরাহ উইনফ্রে’র সাথে এক সাক্ষাৎকারে মেগান বলেছিলেন, তার সন্তান যখন পেটে তখন থেকেই রাজপরিবারে ছিলো নানা কৌতুহল। এমনকি আর্চির জন্মের আগে ছেলের গায়ের রং কালো হবে নাকি ফর্সা হবে সেই আলোচনাও এসেছিলো মেগানের কানে। পরবর্তিতে আর্চির জন্মের পর শুরু হয় মেগানের জীবনে বর্ণবৈষম্যের আঘাত। ধীরে ধীরে প্রচন্ড মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন মেগান।
প্রিন্স হ্যারি গত বৃহস্পতিবারের শো’তে সেই ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, স্ত্রীর ওই অবস্থার কথা ভেবে অবর্ণনীয় অসহায়ত্ব বোধ করেছিলেন তিনি। আর রাজপরিবার ছাড়ার এটাই অন্যতম কারণ বলছেন প্রিন্স হ্যারি।
রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব নিয়ে হ্যারি বলেন, আমি এই কাজ করতে চাই না, আমি এখানে থাকতে চাই না, ভেবে দেখুন এখানে থেকে আমার মায়ের কি হাল হয়েছিল!
এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ রাজপরিবার ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল, বিশ্ব মিডিয়া যে ঘটনাকে ‘ব্রেক্সিট’ এর সাথে মিল রেখে ‘মেক্সিট’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এবছর মার্চ মাসে অপরাহ উইনফ্রে’র সাথে এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয় নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা করে ঝড় তোলেন এই দম্পতি।
Leave a Reply