ভারতে এখন প্রতিদিনের চিত্র শ্মশানে সারি সারি মরদেহ নিয়ে স্বজনদের অপেক্ষা । বিশেষভাবে মধ্যে বিহারের গঙ্গা ও উত্তর প্রদেশের যমুনায় শতাধিক মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে। আটকে যাওয়া মরদেহ কুকুরে ছিড়ে খাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলার চৌসায় তীরে ।
ধারনা করা হচ্ছে, মরদেহগুলো করোনা রোগীর। যার ফলে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওইসব এলাকায়। উত্তর প্রদেশে যমুনায় ভাসতে দেখা গেছে প্রায় অর্ধশত মরদেহ। হামিরপুর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । যদি এসব মরদেহ করোনা রোগীর হলে সংক্রমণ আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে তারা। আজ সকালে হামিরপুরে দেখা যায় এক ভয়াবহ দৃশ্য। যমুনায় ভাসছে মরদেহ। এখনো কিছু আটকে আছে নদীর তীরে। ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। কারণ যমুনা-তীরবর্তী গ্রামগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এনডি টিভি জানিয়েছে, বিহারে গঙ্গায় অন্তত ৫০ মরদেহ ভাসতে দেখা গেছে। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার সকালের দিকে গঙ্গায় ভাসতে দেখা গেছে শতাধিক মরদেহ। এর পরই মরদেহগুলো গঙ্গার ধারে তুলে এনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয়দের অনুমান, গঙ্গার উল্টো পাড়ে উত্তরপ্রদেশ, ওই দিক দিয়েই ভেসে এসেছে মরদেহগুলি। কারণ তাদের দাবি, এই এলাকায় একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু হওয়া সম্ভব নয়। আপাতত জেলা প্রশাসনকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, এসব মরদেহের বেশির ভাগেরই শেষকৃত্য হয়নি, কিছু মরদেহ দাহ হয়নি পুরোপুরি। নদীতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেয়া সেখানকার পুরোনো রীতি বলেও জানিয়েছে তারা। আগেও নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখা গেছে, তবে সংখ্যা বেড়েছে করোনা মহামারির কারণে। অনেকে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কেও মরদেহ দাহ না করে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে বলে জানান উত্তর প্রদেশের হামিরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার অনুপ কুমার সিং। শেষকৃত্যের সামর্থ না থাকাও এর কারণ হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
করোনায় মরদেহ নদীতে এভাবে ভাসিয়ে দিলে সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply