স্পোর্টস ডেস্ক: সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পাওয়াত প্লে’তে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব ও মুশফিক। তবে অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটারের আউটের পরই আবারও ধস নামে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। রউফ-নাসিম শাহ’র দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় সাকিবরা। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৯৪ রান।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। লিটন দাস দলে ফিরলেও এদিন ওপেনিংয়ে নামেন মিরাজ। আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো এই ক্রিকেটার এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। প্রথম বলেই নাসিম শাহকে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। শান্তর পরিবর্তে দলে ঢুকে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন। শাহীন আফ্রিদির বলে খোঁচা মেরে রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
২৫ বলে ২০ রান করা নাঈম শেখ আউট হন হারিস রউফের বলে। পাক পেসারের প্রথম ওভারে উচ্চাবিলাসী শট খেলতে গেলে বল ভেসে যায় হাওয়ায়। পাকিস্তানের এই পেসার আউট করেছেন হৃদয়কেও। দুরন্ত গতির বলে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে মাত্র ২ রানে বোল্ড হন হৃদয়। পাওয়ার প্লে’তেই বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট।
শুরুর চাপ সামলে পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ১২০ বলে ১০০ রানের জুটি গড়েন সাকিব-মুশি। সাকিব তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম অর্ধশত। তবে অর্ধশত হাঁকানোর কিছুক্ষণ পরই আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৭ বলে ৭টি চারে ৫৩ রান করে থামেন তিনি।
সাকিবের পর ব্যাট হাতে অর্ধ-শতকের দেখা পান মুশফিকও। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার ৬৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে আবারও ধস নামে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। শামীম হোসেন, আফিফ কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ১৯৩ রানে বাংলাদেশের ইনিংস।
পাকিস্তানের পক্ষে এদিন বল হাতে দারুণ সফল ছিলেন হারিস রউফ। ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট লাভ করেন তিনি। এছাড়া নাসিম শাহ পেয়েছেন তিন উইকেট।
Leave a Reply