খেলা ডেস্ক: এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরুর পর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও সেই চাপ দারুণভাবে সামাল দিয়ে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুইজনই এদিন ব্যাট হাতে দেখা পান সেঞ্চুরির। এই দুই ব্যাটারের শতকের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এর আগে সর্বোচ্চ ৩০৬ রান করেছিল বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি এশিয়া কাপেও এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে, ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ ৩২৬ রান করেছিল টাইগাররা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এদিন শুরুতেই ছিল চমক। নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন মিরাজ। এই দুই ব্যাটার দলকেও এনে দেন উড়ন্ত সূচনা।
নাঈম শেখ-মিরাজের ব্যাটে ওপেনিংয়ে আসে ৬০ রান। নাঈমকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। ৩২ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গুলবাদিন নাইবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। এরপরই চাপ সামলে উল্টো আফগানিস্তানকে চাপে ফেলেন শান্ত-মিরাজ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৯৪ রান। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মিরাজ আর ফারুকিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন শান্ত।
অর্ধ-শতক হাঁকিয়েও থেমে থাকেননি তারা। আফগান বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন মিরাজ আর শান্ত। ওপেনিংয়ে নেমে ১১৫ বলে মিরাজ করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শান্তও ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। শান্তর সঙ্গে জুটিতে ১৯৪ যোগ করে রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মিরাজ।
মিরাজ মাঠ ছাড়ার পরপরই সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত। ১০১ বলে শতরান ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। শান্তর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সমাপ্তি হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে। শেষদিকে, মুশফিকের ১৫ বলে ২৫, সাকিবের ১৮ বলে ৩২ রানে ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
Leave a Reply