নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার কেরানীগঞ্জে আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল কারখানায় গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আজ মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৩টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী গদাবাগ এলাকায় হাজী আবুল হাসনাতের মালিকানাধীন স্বাদ গ্লাস অ্যান্ড পলিমার কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বসতঘরে রাতে ঘুমিয়ে থাকা জেসমিন আক্তার (৩০) ও তার কন্যা সন্তান ইশা (১৬) এবং মিনা (২২) ও তার শিশুসন্তান তাইয়েবা (২) ঘটনাস্থলে নিহত হন। সন্তান ইশাকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে বাবা সোহাগ মিয়া (২৮) শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত জেসমিন সৌদি প্রবাসী মিলন মিয়ার স্ত্রী ও মিনার স্বামীর নাম সোহাগ মিয়া। সম্পর্কে তারা আপন দুই ভাই এবং একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে বসবাস করত।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা প্রায় এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর আগেই স্থানীয়ভাবে লোহার হাতুড়ি দিয়ে দেয়াল ভেঙে বেশ কয়েকজন আহত ও নিহতদের উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী এজিএম (হেড কোয়াটার) মো. সামসুজ্জামান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এবং এরপর সদরঘাট ও হেডকোয়ার্টারসহ প্রায় ছয়টি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তৎক্ষণিক নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সল বিন করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের ছুটে আসেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। তিনি অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দানের আশ্বাস প্রদান করেন এ সময় নিহতদের পরিবারের প্রত্যেককে ২৫ হাজার ও আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Leave a Reply