অনলাইন ডেস্ক: গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সব মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে করা রুলের নোটিশ তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করতে হবে।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ রাজা, সানজিদা খানম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে ৮ আগস্ট সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা অনলাইনসহ সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ সময় বিচারপতি. মো. খসরুজ্জামান জানতে চান, তারেক রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়নি, তাহলে কীভাবে শুনানি হবে। তখন রিটকারি আইনজীবী কামরুল ইসলাম উত্তরে বলেন, উনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে নতুন আবেদন আনতে বললেন হাইকোর্ট। এ সংশ্লিষ্ট আবেদন নতুন করে জমা দেওয়ার পর আদালত আজ এ নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ওই রুল জারি হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি। সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। এরপর রুল শুনানি করতে আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।
Leave a Reply