অনলাইন ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কাজ অব্যাহত রয়েছে। বিজিবিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্তে যোগাযোগের জন্য হেলিকপ্টার কিনে দিয়েছি।’
আজ শনিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ‘আহছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্র’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল এবং পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন।
মাদকের হাত থেকে যুবসমাজকে রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম শক্তির অংশ। এর মধ্যে অধিকাংশই যুবসমাজ। সেই যুবসমাজকে যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, তাহলে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি। যুবসমাজ যদি ভয়াবহ মাদকের ছোবলে আটকে যায়, তাহলে দেশের উন্নয়নের পথ হারানোর সম্ভাবনা থেকে যায়।’
মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করে মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, জেলখানায় যারা রয়েছে তাদের প্রায় ৬০ শতাংশ মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবনকারী। তাদের অনেকের সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে বিচার হচ্ছে না। এক থেকে দুই মাস পরে বের হয়ে আরও বেশি করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই জায়গায় যারা জনপ্রতিনিধি আছেন, আপনাদের কাজ করতে হবে। যারা মাদক ব্যবসায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের পুলিশে ধরিয়ে দিতে হবে। গোপনে প্রশাসন ও পুলিশের কাছে তাদের ব্যাপারে জানাতে হবে। আমরা চাই, নতুন প্রজন্মকে মাদকদ্রব্যের হাত থেকে রক্ষা করতে। না হলে যে স্মার্ট বাংলাদেশের আমরা স্বপ্ন দেখি তা বাধাগ্রস্ত হবে।’
Leave a Reply