দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, একদিকে দেশে ঢুকেছে ভারতের ভ্যারিয়েন্ট অন্যদিকে ঈদে বেসামালভাবে ছুটছে মানুষ। এর কুফল পাওয়া যাবে ১৪ দিন পর । প্রত্যেকের নিজ নিজ সচেতনতার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
দেশে রোববার পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে পৌনে আট লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার নয়শ ৩৪ জনের। তবে কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে।
বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ ও ট্রেন তবুও মানুষ বাড়ি যাচ্ছে গাদাগাদি করে। ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে জনসমাগম। কেনাকাটা করতে মার্কেটেও উপচে পড়া ভিড়। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।
এখন দেশে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়লে মোকাবিলা করা কঠিন হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ।
করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য কার্যকর লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন তরুণরা। ৩১ থেকে ৪০ বছরে মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। তবে, বয়স্ক ও অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের করোনায় মৃত্যুহার কিছুটা কমেছে। আর নারীদের মৃত্যু বেড়েছে ৭ ভাগ। বিষয়গুলোকে নতুন ধরনের করোনার অচেনা রূপ, বলছেন চিকিৎসকেরা।
আইসিডিডিআরবির তথ্যমতে, দেশে এখন করোনার সাউথ আফ্রিকার ধরন ৯৫ ভাগ। মার্চ ও এপ্রিলে ভয়াবহ রূপ নেয় করোনা। এপ্রিলেই মারা গেছেন দুই হাজার ৪০০ জন।
Leave a Reply