সম্প্রতি মাওয়া বালুবাহী নৌযানের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহতর মামলায় আসামি
স্পিডবোটের মালিক চাঁন মিয়াকে(৪০) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল ও র্যাব-১০ এর একটি দল ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তেঘরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজহার নামীয় ২নং আসামী স্পীড বোটের মালিক চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।সে মুন্সিগঞ্জ জেলার মৃত আনু মৃধার ছেলে।
আজ রবিবার বিকালে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাবের সিগন্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
মঈন জানান, স্পীড বোট এর মালিক চান মিয়া অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় লকডাউন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্পীড বোটে যাত্রী পরিবহন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। স্পীড বোটের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়া দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ স্পীড বোটের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের ব্যবসার সাথে জড়িত। তার ০৩টি স্পীড বোট রয়েছে। দূর্ঘটনা কবলিত স্পীড বোটের কোন প্রকার অনুমোদন ছিল না। দূর্ঘটনার পরপরই ভয়াবহতা জেনে সে আত্মগোপনে চলে যায়।
এর আগে ৩ মে ২০২১ তারিখে মাওয়া ফেরি ঘাট এলাকার একটি যাত্রীবাহী স্পীড বোট দ্রত ও বেপরোয়া গতিতে নোঙ্গরে থাকা বালু বোঝাই বাল্ক হেডের উপর আছড়ে পড়ে মারাত্মক দূর্ঘটনায় পতিত হয়। উক্ত দূর্ঘটনায় ২৬ জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এছাড়া ৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৪ মে ২০২১ তারিখে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় মামলা নং- ৭ এবং ধারায়-২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৮, ১৮৮, ১০৯, পেনাল কোডে একটি মামলা দায়ের করা হয়।। সেই মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply