রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় হায়েনার খাঁচায় হাত ঢুকিয়ে দিয়ে হাত হারানো সেই শিশুর নাম সাঈদ।
তার বাড়ি নওগাঁয়। পরিবারের সঙ্গে থাকে গাজীপুরে। সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসে ওই শিশুটি। খেলতে খেলতে হায়েনার খাঁচায় হাত ঢুকিয়ে দিলে তার হাতে কামড় বসায় হায়েনা।
এ সময় পরিবারের লোকজন শিশুর হাত ধরে টানাটানি করে বাঁচানোর চেষ্টা করলে কবজি থেকে হাত আলাদা হয়ে যায়। শিশুটি বর্তমানে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
চিড়িয়াখানার পরিচালক জানান, বেলা সাড়ে
১১টার দিকে বাবা-মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় আসে দুই থেকে আড়াই বছরের শিশুটি। বাচ্চাটার মা-বাবা নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে হায়েনার খাঁচার কাছে চলে আসে। যদিও খাঁচায় নেট দেওয়া ছিল কিন্তু ছোট বাচ্চাটা নেটের ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দেয়। তখনই বাচ্চাটার হাত কামড়ে কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন করে বিচ্ছিন্ন হাতটি খেয়ে ফেলে হায়েনা।
চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, আহত শিশুটি বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে ভর্তি। শিশুর বাড়ি নওগাঁ। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছে জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। হায়েনার নিরাপত্তা বেষ্টনী উঁচু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর আলাদা আলাদা দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নিরাপত্তা নিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করবে।
এদিকে শিশুটির মায়ের দাবি, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার বাচ্চার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply