“মা” এরচে‘ মধুর নাম যে ত্রিভুবনে নাই। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় নির্দিষ্ট কোনো দিন দরকার না হলেও, প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে ‘মা দিবস’। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে থেকে মিশর, রোম ও গ্রিসে, বিশেষ একটি দিনকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হতো। মায়ের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে তারা আরাধনা করতো, দেবতাদের।
বনার্ঢ্য আয়োজনে ‘মা দিবস’ উদযাপনের শুরুটা মূলত আমেরিকানদের থেকে। ১৮৭০ সালে সমাজসেবী- জুলিয়া ওয়ার্ড হো যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ বন্ধে, সব মাকে একসঙ্গে করতে চান। আর এ জন্য মা দিবস পালনের প্রস্তাব দেন তিনি। তার লক্ষ্য ছিলো, ১৮৫৮ সালে শান্তিকর্মী অ্যান জার্ভিসের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেয়া।
এ্যান জার্ভিস যুদ্ধ বিধ্বস্ত আমেরিকান নারীদের নিয়ে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা নিয়ে প্রচার ও কাজ শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর মেয়ে এ্যানা জার্ভিস মায়ের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের কাজে হাত দেয়। প্রতি রোববার মা যেখানে পড়াতেন, পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রাফিটন শহরের সেই চার্চে, ১৯০৮ সালের ১০ মে প্রথমবারের মতো দিনটি উদযাপন করেন অ্যানা। এরপর ধীরে ধীরে বড় পরিসরে উদযাপন হতে থাকে দিবসটি।
১৯১২ সালে সর্বপ্রথম এই দিনকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ১৯১৪ সালে দিনটিকে দেশব্যাপী সরকারি ছুটি ও জাতীয় উৎসবের মর্যাদা দেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন। আর ১৯৬২ সালে দিবসটি স্বীকৃতি পায়, আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে। এরপর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে
Leave a Reply