নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ বৃষ্টিতে অফিস থেকে ফেরার পথে ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে।
ঢাকার আকাশে সকাল থেকেই ঝলমলে রোদ ছিল। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। গরমে হাঁসফাঁস হয়ে ওঠে জনজীবন। বিকেলে হঠাৎ আকাশে মেঘের আনগোনা। সাড়ে ৪টার দিকে আকাশ অনেকটাই মেঘে ঢেকে যায়। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় শেষ বিকেলেই রাতের অন্ধকার নেমে আসে রাজধানীতে। এতে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে বাধ্য হয়েছেন চালকরা।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। ক্রমে বাড়ে ঝড়ের তাণ্ডব। এতে ঢাকার সড়কে ধুলিঝড়ের সৃষ্টি হয়। প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামে। ধীরে ধীরে বাড়ে বৃষ্টির গতিও। এ সময় ঢাকার অনেক এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল বজ্রপাতও।
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেককে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায়। দৌড়ে অনেকে আশ্রয় নেন যাত্রী ছাউনিতে। কাকভেজা হয়ে গণপরিবহনে ওঠেন অনেকে।
কয়েকদিন বৃষ্টিহীন থাকায় ঢাকার তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, পটুয়াখালী ও ভোলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। ঝড়-বৃষ্টির কারণে গরম অনেকটাই কমে স্বস্তি ফিরেছে ঢাকায়। বুধবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Leave a Reply