ভূয়াপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্কুলছাত্রীর দাদি বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন বাড়ি থেকে অভিযুক্ত মেহেদী (১৬) এবং সহযোগী শেখ রাফিকে (১৬) আটক করে। একই সঙ্গে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। আটকের পর মেহেদী তার বন্ধুদের আটকের খবর দিলে তারা এসে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে মেহেদী ও রাফিকে ছিনিয়ে নেন।
গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার খানুরবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে ধোলাই খেয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে আহত রাফি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভূঞাপুর হাসপাতালে এলে খরব পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার শেখ রাফি ও পালাতক মেহেদী ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আজ রোববার ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী মামলা করেছেন। তবে, প্রধান আসামি মেহেদীসহ অজ্ঞাতরা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মেহেদী ও ওই স্কুলছাত্রী একই শ্রেণিতে পড়শোনা করত। এই সুযোগে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার নগ্ন ছবি মোবাইলে তুলে রাখে। গতকাল রাত ১০টায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ফেসবুকে ছবি ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার লুৎফর মন্ডল বলেন, ‘অভিযুক্ত ও তার সহযোগীকে আটক করার পর স্থানীয়রা জানালে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ওই ছেলের লোকজন খবর পেয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ওই ছেলের লোকজন আমার ওপর হামলা করে।’
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীর মা ধর্ষণ ও হামলার মামলা করেছে। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও তার বাড়িতে হামলার ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পলাতক মেহেদীর সহযোগী শেখ রাফিকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান আসামি মেহেদীসহ অজ্ঞাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।
Leave a Reply