নিজস্ব প্রতিবেদক: খড়ার মধ্যে পড়েছে বিএনপি, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাবে, নির্বাচনে না গেলে আইসিইউতে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপির সন্ত্রাস,নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ২০১৪ সালে আপনারা নির্বাচনে আসেননি সেজন্য নির্বাচন কি বসে রয়েছে, নির্বাচন কি হয়নি? নির্বাচনে আসবেন না প্রতিরোধ করবেন, কি দিয়ে প্রতিরোধ করবেন আবারও আগুন সন্ত্রাস দিয়ে। যেই হাতে আগুন নিয়ে আসবেন, সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেব। যেই হাতে স্কুল ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করতে আসবেন সেই হাত আমরা ভেঙ্গে দিব। ঠিক আছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত হয়ে থাকেন, বিএনপি’র মতিগতি ভালো না।
তিনি আরো বলেন বিএনপি বলে আমাদের তাদের উপর হামলা হয়েছে কে তাদের উপর হামলা করেছে। তাদের আন্দোলন যতই দমে আসছে,অভিযোগের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। ধীরে ধীরে নেতাকর্মীও কমে যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের রঙিন স্বপ্ন দেখিয়ে হান্ডি- পাতিল কাথা-কম্বল নিয়ে সাত দিন আগে থাকতেই পল্টনে অবস্থান করিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন। দশ তারিখে সরকারকে লাল কার্ড দেখাবে,খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। কেউ বলেছে ১১ তারিখে এয়ারপোর্টে ছুটে যেতে হবে সেদিন নাকি হাওয়া ভবনের কথিত যুবরাজ পলাতক আসামি দেশ থেকে পালিয়ে গেছে সে আবার বাংলাদেশে ফেরত আসবে। কোথায় কি হলো সবই ভুয়া।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আবারো ষড়যন্ত্র করছেন, রোহিঙ্গা শিবিরে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সমস্ত করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো যাবে না, মনে রাখবেন ১৯৭৫ আর ২০২৩ সাল এক না, ২০০১ আর ২০২৩ এক না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃশাসন জনগণ দেখেছে, তারা এখন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। বঙ্গভবনে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণভবনে এসে দেখে বিদ্যুতের লাইন কাটা,পানির লাইন কাটা, টেলিফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন। নিজেদের ইচ্ছে মাফিক সব করেছে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলার মাটিতে আর হবে না। নির্বাচনে আসবেন না, আমরা জোর করব না। তবে নির্বাচন হতে দিবেন না তাহলে খবর আছে, কত ধানে কত চাল তা দেখিয়ে দিব।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালে ৩ মাসের তত্ত্বাবধায় সরকার কে আমরা দুই বছর প্রলম্বিত হতে দেখেছি। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাসহ এমন কাউকে নেই যে হেনস্থা করেনি। বর্তমানে খালেদা জিয়া যেই মামলায় কারাগারে আছে সেটাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের করা। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এমন ভাবে পিটিয়েছিল যে এয়ারপোর্টে তাকে হুইলচেয়ারে করে গিয়ে মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে। আর বেহায়া বিএনপি আবার এখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। চাকরিজীবী ব্যবসায়ী শিক্ষক সাংবাদিক সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকেই তারা হয়রানি করেছে, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলার মাটিতে আর ফিরিয়ে আনা হবে না।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি , দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহীন আহমেদ,দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মামুন, শাক্তা ইউপি চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সহ আরো অনেক ।
Leave a Reply