ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে ওঠা কিশোরগ্যাং এর হামলায় এক নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্র আহত হয়েছে।
গত রোববার সন্ধা ৭ টায় ইকুরিয়া হাসনাবাদ হাউজিং সেন্টার রোডের বড়ইতলা ২০ ফিট রোড বসুন্ধরা আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন এর পিছনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রের নাম মোঃ সামি ( ১৬)।
সামি জানান, গতকাল রোবরার সন্ধায় প্রাইভেট পড়ার জন্য হাসনাবাদে স্যারের কাছে যাচ্ছিল। এ সময় কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা তার সাথে অহেতুক ঝগড়া করার জন্য পিছন থেকে ধাক্কাদেয় সামি প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা মুঠোফোন (আইফোন)টি ছিনিয়ে নিতে কাড়াকাড়ি করে। সামি ফোনদিতে না চাইলে একপর্যায়ে তার মাথায় ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। মাথার সামি বেহুশ হয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়।
পরে সামিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় ৬টি সেলাই লেগেছে। পরে সোমবার সকালে স্থানীয় কিশোরগ্যাং এর এক সদস্য কে ধরে চাপ প্রয়োগ করলে তাদের নাম বলে দেয় এবং তাদের বাসার দেখিয়ে দেয়। তাদের ভাড়া বাসা এক আত্নীয় বাসা ইকুরিয়া বেপারী পাড়া থেকে ধরে নিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজন ধরে জিজ্ঞেসাবাদ করলে তারা সামিকে মারার কথা স্বীকার করেন। পরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। আটক কিশোর গাং সদস্যদের নাম শান্ত(২২), পিতা মো. মামুন, আফ্রিদি ওরফে জিলান (১৯) পিতা নুরুল আমিন (মাস্টার), উভয় সাং পার গেন্ডারিয়া (চেয়ারম্যান বাড়ি গল্লি) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় থাকেন।
এ বিষয়ে সামির পিতা আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সামির নানা ইকুরিয়া ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাজি মোঃ ওহেদুজ্জামান জানান, গতকাল সন্ধায় সামি আমার সাথে ইফতার করে প্রাইভেট পড়ার জন্য স্যারের কাছে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালে পাঠাই চিকিৎসা শেষে রাতে বাসায় নিয়ে আসি। তিনি আরো বলেন,আমার এলাকায় প্রতি বাড়িতে চুরি ডাকাতির বেড়েই চলছে। এই এলাকায় হঠাৎ করে কিশোরগ্যায়ের উঠাবসা ও আড্ডা বেড়ে গেছে। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।
Leave a Reply