Warning: Creating default object from empty value in /home/burigangatv/public_html/wp-content/themes/BreakingNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
মেয়েটার নাম সারাহ ইসলাম ঐশ্বর্য ,সে বেঁচে থাকবে ইতিহাসে - বুড়িগঙ্গা টিভি মেয়েটার নাম সারাহ ইসলাম ঐশ্বর্য ,সে বেঁচে থাকবে ইতিহাসে - বুড়িগঙ্গা টিভি
  1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কেরানীগঞ্জে ভাংচুর ও কোটি টাকা চাঁদা দাবি, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম “পাঠকের মতামত” তিনটি হাসপাতাল চীনের উপহার: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনেও কি আলো আসবে? দুর্ঘটনায় উড়ে গেল বাসের ছাদ তবুও পাঁচ কিলোমিটার টেনে নিলেন চালক সরকার-বিএনপির নির্বাচনী টাইমফ্রেম কাছাকাছি, তবুও কেন শঙ্কা বিক্ষোভ সমাবেশ করে বগুড়ায় সরকারি পলিটেকনিকের মূল ফটকে তালা দিলো শিক্ষার্থীরা টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু

মেয়েটার নাম সারাহ ইসলাম ঐশ্বর্য ,সে বেঁচে থাকবে ইতিহাসে

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩
(আনিসুল হকের ফেসবুক থেকে নেয়া)
এই মেয়েটার নাম সারাহ ইসলাম ঐশ্বর্য। আমার সাথে ওর পরিচয় বছর তিনেক আগে, প্রথম আলো অফিসে।
ও কিশোর আলোর সাথে যুক্ত ছিল। কিশোর আলোর কর্মী ছিল। অফিসে আমাদের ফ্লোরে আসত মাঝেমাঝেই। দু-একবার প্রদায়ক হিসেবে আমার সাথে ‘অন্য আলো’তেও কাজ করেছিল। অবশ্য সেসব করোনা মহামারির আগের কথা।
আমার একটা অভ্যাস এই যে কারো সাথে পরিচয়ের পর আমি তার গ্রামের বাড়ি, বাবা মা নানা দাদাসহ তার ঠিঁকুজি জানতে চেষ্টা করি। সেই সূত্রেই জেনেছিলাম, ওর নানা সাংবাদিক-লেখক সানাউল্লাহ নূরী।
ওর সাথে আলাপের এক পর্যায়ে খেয়াল করলাম, ও দারুণ প্রতিকৃতি আঁকতে পারে মানুষের, কিন্তু সেই প্রতিকৃতিতে কখনো সে মানুষটির চোখ আঁকে না। একদিন ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, চোখ আঁকো না কেন?
ও বলল, এটাই আমার স্টাইল।
একবার এই স্টাইলে আমার একটা প্রতিকৃতিও এঁকে দিয়েছিল ঐশ্বর্য।
ও কখনো আমাকে ওর অসুস্থতার কথা বলেনি, আমিও জানতে চাইনি কখনো। এত বড় অসুখ নিয়েও মেয়েটা দিব্যি হেসেখেলে বেড়াত, কলেজে যেত। দেখা হলে কী মিষ্টি করেই যে হাসত!
এই মাস চারেক আগে অফিসে ওর সাথে শেষ দেখা।
এরপর গতকাল দীপ্র হঠাৎ বলল, নয়ন ভাই, জানেন সারাহ মারা গেছে।
খবরটা শুনে মনটা একটু মিইয়ে গিয়েছিল।
তবে আজ বুঝলাম, ঐশ্বর্য মরেনি, দেহাবসানের আগে নিজের অঙ্গ প্রতঙ্গ মানুষের কল্যাণে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং বিভিন্নজনের দেহে নিজের অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপন করে ও আসলে বেঁচে আছে, বেঁচে আছে চিরকালের ক্যানভাসে।
আচ্ছা, এত বাচ্চা একটা মেয়ে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিল কীভাবে? আমি কি পারতাম এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে?

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews