মায়ের মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল শিশুটি। দুদিনে কিছু মুখে পড়েনি তার। ক্ষুধায় নির্জীব হয়ে এসেছিল তার দেহ। অথচ করোনার ভয়ে কাছে যেতেও সাহস করেননি প্রতিবেশীদের কেউ। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসলে বাড়ির মালিক পুলিশকে ফোন দেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের কাছে পিপড়ি-চিঞ্চওয়াড়িতে। মহামারিতে অসংখ্য মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যে এটি একটি। ২৬ এপ্রিল সোমবার দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে ঢোকে। তখন ওই নারীর মরদেহ দেখতে পায়। পাশে তার শিশু। শনিবার তার মৃত্যু হয়েছিল বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এতে দেখা যায় দুদিন ধরে কোনো ধরনের খাবার কিংবা পানি ছাড়াই বেঁচে আছে শিশুটি।
খবরে বলা হয়, উদ্ধারের পর প্রতিবেশীদের কেউ তাকে কোলো নিতেও এগিয়ে আসেনি। তাকে বুকে নেওয়ার বদলে পিছনে সরে গিয়েছেন সবাই। অবশেষে পুলিশ কর্মকর্তা শুশীলা গাবহালি ও রেখা ওয়েজ তার দায়িত্ব নেন। শুশীলা বলেন, আমার আরও দুটি সন্তান আছে। একটির বয়স আট, অন্যটি ছয় বছর বয়সী। এই শিশুটিকেও আমার নিজের সন্তান বলে মনে হচ্ছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, শিশুটি অলৌকিক সুন্দর। তাকে ডাক্তার দেখানোর সময় তার শরীরে কিছুটা জ্বর ছিল। পরে সরকারি হাসপাতালে তাকে করোনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তার করোনার ফল নেগেটিভ এসেছে।
Leave a Reply