অনলাইন ডেস্ক: জোটবদ্ধভাবে ইসলামিক দলগুলো আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট-জোটের ছক কষছে । জোটবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে লড়তে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। এরইমধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে পাঁচটি দল। এখন চেষ্টা চলছে জোটের কলেবর বাড়ানোর। দলগুলো বলছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী যে কারোর সঙ্গেই হতে পারে নির্বাচনী জোট।
ইসলামী দল হিসেবে ১৯৯১ সালে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ ভোট পায় জামায়াতে ইসলামী। জয় পায় ১৮ টি আসনে। পরের নির্বাচনগুলোতে ক্রমান্বয়ে কমেছে দলটির ভোট ও আসন। অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর ভোটও ছিলো সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে।
পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচনেকে সামনে রেখে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে ধর্মভিত্তিক দলগুলো। মেলাচ্ছে ভোট-জোটের হিসাব নিকাশ। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি বৈঠক করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে ওলামা ইসলাম, নেজামে ইসলাম ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সিদ্ধান্তে নেয় ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর দেখেছি আমরা বারবার ব্যবহৃত হয়েছি। এজন্য এবার আমরা একাত্রিত হয়ে নির্বাচনী একটি সমঝোতা করতে চাই। যাতে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স পাঠাতে পারি। এ লক্ষ্যে কাজ করছি, লক্ষ্যে পৌঁছার ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে।
আলোচনা আছে, বাড়তে পারে জোটের কলেবর। কথা চলছে ভোটের মাঠের বড় শরিক জামায়াতের সাথেও। এমনকি বিএনপির সাথে গাটছড়া বাধা নিয়েও আলোচনার দরজা খোলা রাখতে চায় দলগুলো।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ঘরানার আলেম, দল-মতের সঙ্গে বসবো। এরপর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবো।
Leave a Reply