যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ও ব্যয়বহুল ড্রোনের মধ্যে অন্যতম ইউএস এমকিউ-৯ রিপার। সর্বশেষ শনিবার (১৯ এপ্রিল) ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির হামলায় এ ধরনের একটি ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা হামলা শুরুর পর থেকে এ নিয়ে এমন ২০টি ড্রোন ধ্বংস করেছে হুতি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সামাজিক মাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজের সিনিয়র সাংবাদিক জেনিফার গ্রিফিন। তিনি বলেন, কয়েকটি সূত্র ফক্স নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পোস্টে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে হুতির হামলায় ৬টি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী টানা ৩৫ দিন ধরে বোমা হামলা চালালেও হুতিরা এই ব্যয়বহুল মার্কিন সম্পদগুলোতে হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলে অবিরত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে চলেছে। লোহিত সাগরে হামলার শিকার হয়েছে বহু পণ্যবাহী জাহাজও।
কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুসারে প্রতিটি এমকিউ-৯ ড্রোনের দাম প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১৬টি আমেরিকান ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে হুতি। তবে একটি সূত্র ফক্স নিউজকে জানিয়েছে, এই সংখ্যা ২০টির মতো হতে পারে।
পোস্টে আরও বলা হয়, বিশ্বজুড়ে এই ধরনের রিপার ড্রোনের চাহিদা রয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এমন চাহিদা সম্পন্ন অত্যাধুনিক ড্রোন ধ্বংসের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এই ধরনের ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্র ভান্ডারে খুব যে বেশি রয়েছে তাও নয়। একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ফক্স নিউজকে বলেছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রাগারে ২৩০টির মতো এমকিউ-৯ ছিল।
এগুলো মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সম্পদ, যা নজরদারি এবং লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের ড্রোন হারানো সবচেয়ে শক্তিধর দেশটির সামরিক অপারেশন এবং কৌশলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply