Warning: Creating default object from empty value in /home/burigangatv/public_html/wp-content/themes/BreakingNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
সরকার-বিএনপির নির্বাচনী টাইমফ্রেম কাছাকাছি, তবুও কেন শঙ্কা - বুড়িগঙ্গা টিভি সরকার-বিএনপির নির্বাচনী টাইমফ্রেম কাছাকাছি, তবুও কেন শঙ্কা - বুড়িগঙ্গা টিভি
  1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দুর্ঘটনায় উড়ে গেল বাসের ছাদ তবুও পাঁচ কিলোমিটার টেনে নিলেন চালক সরকার-বিএনপির নির্বাচনী টাইমফ্রেম কাছাকাছি, তবুও কেন শঙ্কা বিক্ষোভ সমাবেশ করে বগুড়ায় সরকারি পলিটেকনিকের মূল ফটকে তালা দিলো শিক্ষার্থীরা টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু কেরানীগঞ্জে জোর করে সাইনবোড লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টা, যুবদল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাপনের কাপড় পড়ে হলেও মেলা হবে: গয়েশ্বর দেশে চলতি মৌসুমে আলু উৎপাদনের শীর্ষ জেলা মুন্সিগঞ্জ

সরকার-বিএনপির নির্বাচনী টাইমফ্রেম কাছাকাছি, তবুও কেন শঙ্কা

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ডেস্কি নিউজ: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স আট মাস পার হলেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেয়া হচ্ছে না। ফলে তৈরি হচ্ছে সন্দেহ এবং উঠছে নানা প্রশ্ন। সরকার বলছে, নির্বাচন হবে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে। আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে।

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে খুব বেশি সময়ের পার্থক্য নেই। বিএনপির যুক্তি, নির্বাচন বিলম্ব হলে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল ও ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়বে। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন দেরি বিএনপির জন্য কোন চ্যালেঞ্জ নয়, পরিবর্তিত রাজনীতি এবং জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাস্তবে রূপ দিতে পারা বিএনপির চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচন একটু দেরিতে হলে অসুবিধা কোথায়—এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নির্বাচন দেরি হলে রাষ্ট্রের অর্গানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়বে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বির্নিমাণ আমাদের সবার আকাঙ্ক্ষা। যার জন্য গত ১৫ বছর আমরা লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও প্রহসন করেছে, জনগণ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন থেকে জনগণকে দূরে রাখা হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অবসানের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রয়োজনেই নির্বাচন জরুরি। এছাড়া দেরিতে নির্বাচন হলে সমাজের বিশৃঙ্খলা আরও তীব্র হবে, জনগণ হতাশ হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, যে সাম্য মানবিক ও বৈষম্যহীনতা রাষ্ট্র তৈরি করা সেটি সুদূর পরাহত হবে।

তিনি বলেন, আমরা তো বলিনি তিন মাসে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ, গেলো ১৫ বছর আওয়ামী লীগ পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কার প্রয়োজন বলেই অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চেয়েছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার অভিপ্রায় আমাদের ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, গেলো ৭ মাসে সংস্কার প্রক্রিয়া যেভাবে এগোনোর কথা ছিল, সেভাবে এগোয়নি। এটিকে দীর্ঘসূত্রিতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। এখন সংস্কারের চেয়ে আলোচনা বেশি হচ্ছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

নির্বাচিত শাসনের অনুপস্থির সমস্যা তুলে ধরে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দেশে অচলাবস্থা ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সমাজ এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হচ্ছে। একই সঙ্গে পতিত ফ্যাসিবাদ দেশ-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। এসব মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত শাসন জরুরি।

সব সমস্যার সমাধান অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সব সংস্কার করার সমর্থনও এ সরকারের নেই। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো অতিদ্রুত শেষ করে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। বাকি সংস্কার জুলাই চার্টারে রাখতে হবে। আমরা সবাই একমত পোষণ করে পরবর্তীতে যে সংসদ বা সরকার নির্বাচিত হবে তারা সংস্কার করবে। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, এটি অব্যত থাকবে, বন্ধ করার সুযোগ নেই।

ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিলে কী করবে বিএনপি— এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণ এই মুহূর্তে নির্বাচন চায়। আমরা জনগণকে নিয়ে কাজ করি, আমরা তো তাদের পালস বুঝি। নির্বাচনের জন্য জনগণ অধীর আগ্রহে আছে। নির্বাচন দেরি হলে, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী জনগণের মতামতকে প্রাধন্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পথ বেছে নেবে। যেটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য শুভকর হবে না।

অনেকে বলছেন দেরিতে নির্বাচন হলে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন— এ মন্তব্যের বিষয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নির্বাচন করেই বিএনপি ক্ষমতায় গেছে। এখনও নির্বাচন করেই ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য নির্বাচন চাচ্ছি না, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই নির্বাচন চাচ্ছি। দেরিতে হলে ক্ষমতায় যাওয়া দুরূহ হবে, বিএনপি এসব কথায় বিশ্বাস করে না।

নতুন রাজনৈতি দল সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারের যদি উদ্দেশ্য থাকে সংস্কারের নামে নতুন কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেয়ার জন্য, তাহলে সেটি ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসবে, দৃশ্যমান হলে জনগণ সেটি মেনে নেবে না এবং সরকারের নিরপেক্ষতা হারাবে। সরকারের কমিটমেন্ট ব্যত্যয় ঘটবে। নতুন পুরাতন সব রাজনৈতিক দলেরই জনগণের ওপর আস্থা রাখা উচিৎ। নতুন দল যে কেউ করতে পারে, সেটির আর্দশ-নীতি নিয়ে তারা জনগণের কাছে যাবে, আমরা আমাদের কর্মসূচি নিয়ে যাবো। জনগণ যেটি গ্রহণ করবে, সেটিকে মেনে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। তারপর শুনলাম ডিসেম্বর থেকে জুন। কয়েকদিন আগেও একটি অনুষ্ঠানে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলেছেন। পরে ওনার অফিস থেকে সেই বক্তব্যকে চারবার সংশোধন করেছে। সেটি জুনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে বুঝা যায়, সরকারের ভেতর সমন্বয়হীনতা আছে। কেউ কেউ আবার নতুন রাজনৈতিক দলকে সুযোগ করে দিতে চাচ্ছে।

ড. ইউনূসের উপর বিশ্বাস ও আস্থা আছে জানিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আশাকরি বিশ্বাস এবং আস্থার মর্যাদা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকার যদি নিবিড় যোগাযোগ রাখতো, ভালো বুঝাপড়া থাকতো তাহলে নির্বাচন আরও আগেই করা সম্ভব হতো। নতুন রাজনৈতিক দল বলছে, মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না, এটি দ্বারা কি বুঝানো হচ্ছে। যেমন— গণপরিষদ নির্বাচন এগুলো অবাস্তব। এসব বলে পুরোনো রাজনৈতিক দল ও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি, নিজেদের দলভারী করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের করতে চাচ্ছে কিনা এ নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে এই মুহূর্তে সরকার, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব একেবারেই কম। তিন থেকে ছয় মাস আগে বা পরে। এই সামান্য দূরত্ব বা মতানৈক্য ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা এবং জুলাই চার্টার স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ঘুচে যাবে।

তিনি বলেন, বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আগের চেয়ে এখন বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর অনেকটা ইতিবাচক। তারা সংস্কার এবং জুলাই চার্টার স্বাক্ষরের পক্ষে। জামায়াতে ইসলামী সহ অন্যদলগুলোও পক্ষে, এটি খুবই ইতিবাচক। তবে কোনো কারণে নির্বাচন জুনের পরে চলে গেলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আবার সন্দেহ সৃষ্টি হবে, যে সন্দেহের উৎস হচ্ছে ওয়ান ইলেভেন ভীতি। সেরকম ডিপলিটিসাইজেশনের সম্ভাবনা না থাকলে একটু দেরি হওয়া কোন সমস্যা নয়—এটা জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সবাই মেনে নেবে।

ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে—কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এ বিষয়ে অধ্যাপক মেজবাহ-উল-আজম বলেন, ওয়ান ইলেভেন টাইপের কোন সম্ভাবনা না থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো হয়তো কথা বলবে, কিন্তু উত্তেজনা তৈরি হবে না। ওয়ান ইলেভেন টাইপের কোন সম্ভাবনা যদি দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন দেরি হলেও বিএনপি’র ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে বলে আমি মনে করি না। তবে তাদের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নতুন রাজনীতি এবং পরিবর্তনকে মেনে নেয়ার মানসিকতার পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করা। এই চ্যালেঞ্জ এড্রেস করতে পারলেই বিএনপি সফল হবে। সুতরাং নির্বাচন দেরি বিএনপির জন্য কোন চ্যালেঞ্জ নয়, বিএনপির চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবর্তিত রাজনীতি এবং জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাস্তবে রূপ দিতে পারা। এটা করলে বিএনপি’র জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews