কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সিয়াম (২০) ও জিত সরকার (১৯) নামের দুই যুবককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন কোন্ডা ইউনিয়নের পানগাঁও ঋষিপাড়া নয়াবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে (বুড়ির বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি (২০) সনাতন ধর্মাবলম্বী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। গত এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে রিয়াদ নামে এক মুসলিম ছেলেকে বিবাহ করে স্বামীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। গত ১৫ দিন আগে ঝগড়াঝাটি হলে স্বামী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে নিরুদ্দেশ হন। এ অবস্থায় মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে ফিরে গেলে, পরিবারের অমতে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় তারা মেনে না নিয়ে মেয়েকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে মেয়েটি লঞ্চযোগে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় এসে শুক্রবার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ সিএনজির স্ট্যান্ডের সামনে ঘোরাঘুরি করলে সিয়াম ও জিত মেয়েটির কাছে তার দুঃখের ঘটনা শুনে তাকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করিয়া দিবে বলে অটোরিক্সাযোগে পাঁনগাও ঋষিপাড়া নয়াবাড়ী এলাকায় বুড়ীর পরিত্যাক্ত বাড়ীতে নিয়া যায়। পরে লিমন ও ইয়াসিন নামে তাদের আরো দুজন বন্ধুকে সেখানে ডেকে আনে। এরপর রাত গভীর হলে সিয়াম,জিত সরকার ও লিমন মেয়েটিকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে। ইয়াসিন জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করার সময় মেয়েটি চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন এসে সিয়াম ও জিত সরকারকে আটক করে এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় লিমন ও ইয়াসিন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিয়াম ও জিত সরকার নামে দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে চার যুবকের নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply