কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সাইম হোসেনের কবর জিয়ারত এবং পরিবারের সঙ্গে স্বাক্ষাত করছে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর এলাকার কবরস্থানে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল আমিন মিনহাজ ও সদস্য সচিব আরিফ হোসেনসহ অন্যান্য ছাত্ররা। কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়কালে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে, উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল আমিন মিনহাজ বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, রিযাজ ও সাইমসহ সকল শহীদের পরিবারের পাশে রযেছি। তিনি বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতা রাজপথে ছিলো এবং শহীদ হয়েছে তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়েই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজপথে থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুনি হাসিনা সরকারের পেটুয়া বাহিনীর দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে সাইম হোসেন। একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য এবং একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সাইমরা আত্মত্যাগ করেছে। শহীদ রিযাজ ও সাইদদের এই আত্মত্যাগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে রাখবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে যে আত্মত্যাগের মাধ্যমে নতুন বংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেই বাংলাদেশের চেতনা গভীরভাবে স্মরণ রাখবে আগামীর বাংলাদেশ। এসময় উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র সদস্য সচিব শাকিল, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদ নূর সাব্বির, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য সচিব জিতু, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
মুখ্য সংগঠক রতন হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী কাজলা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাইম হোসেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ওই রাতেই মরদেহ নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রসুলপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
M/P
Leave a Reply