ডেস্ক নিউজ: এ অবস্থায় চলতি বছর জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা কঠিন হবে বলে মনে করেন নবগঠিত রাজনৈতিক দল– জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অন্তর্বর্তী সরকার এখনও জননিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি এ কথা বলেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এই গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখেন নাহিদ ইসলাম। গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেখানে দায়িত্ব পান নাহিদ। পরে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করেন।
চলতি মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এ বছরের শেষে বা আগামী মার্চের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন প্রেক্ষাপটে, নাহিদের সঙ্গে কথা বলে রয়টার্স।
নাহিদ বলেন, ‘গত সাত মাস ধরে আমরা আশা করেছিলাম, স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে পুলিশ ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করা সম্ভব হবে। তা কিছুটা করা সম্ভব হলেও, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি… বর্তমান পুলিশিং সিস্টেম বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আলোকে, আমি মনে করি না জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’
এনসিপির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিলেন নাহিদ। ড. ইউনূস নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে সময়সীমা উল্লেখ করেছেন, তা নিয়ে এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাজনীতিবিদ সন্দেহ প্রকাশ করলেন।
রয়টার্সকে নাহিদ বলেন, জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক- নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকবে এনসিপি। তবে নির্বাচনের আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে সব দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হওয়াটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপের ভিত্তিতে এই চার্টার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
নাহিদ বলেন, ‘আমরা যদি এক মাসের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি, তাহলে আমরা সঙ্গেসঙ্গেই নির্বাচনের আহ্বান জানাতে পারব। কিন্তু, এতে আরও সময় লাগলে, নির্বাচনও পিছিয়ে যাবে।’
Leave a Reply