কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জে “চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক সাগর হোসেন হত্যা মামলার” প্রধান আসামি রুবেল (৩০)’কে মামলা রুজু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১০’র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ভাড়া বাসায় বসবাস ও অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন সাগর। গত ২৪ জানুয়ারি রাতে ভিকটিম রহিমের ছেলে সাকিব হাওলাদারকে একই এলাকায় বসবাসকারী মো. রুবেল এবং তার সহযোগী রনি মিলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে ভিকটিম রহিমের সাথে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মনু বেপারীর ঢাল এলাকা থেকে রুবেল ও তার সহযোগীর রনির সাথে দেখা হলে ভিকটিম রহিম তার ছেলেকে অন্যায়ভাবে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করলে রুবেল ও রনি মিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম রহিমকে উপর্যুপুরি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে এবং এক পর্যায় রুবেল একটি বাঁশ দিয়ে ভিকটিম রহিমের ঘার ও পিঠে স্বজোরে আঘাত করলে রহিম গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়। এসময় ভিকটিম রহিমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। অতঃপর রহিমকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সাজেদা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অতঃপর উক্ত হাসপাতালের চিকিৎসক ভিকটিম রহিমের অবস্থা আসঙ্কাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসাপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম রহিমকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম রহিমকে মৃত ঘোষনা করে। পরে মৃত রহিমের ছেলে সাকিব হাওলার বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আসামি রুবেল ও তার সহযোগী রনির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (যার মামলা নং-৩২, ২৫ জানুয়ারি, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।) এদিকে মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। তবে হত্যাকান্ডের বিষয়টি র্যাব-১০ জানতে পেরে একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গত ২৬ জানুয়ারি, রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ভাগনা এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
M/p desk
Leave a Reply