কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত এজহারভুক্ত ৬ নাম্বার আসামি প্রিয়ার বাক্সকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এছাড়াও এজাহার ভুক্ত বাকী আসামিরা এখনো অধরা।
আজ শুক্রবার ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহপুর এলাকায় আসামির নিজ বাড়ি রাস্তা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। এসময় তার সাথে থাকা এজহারভুক্ত ২ নং আসামি দিদার বক্স পালিয়ে যায়।
এর আগে, গত রবিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে, মামলার এজাহার ভুক্ত ১ নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম এবং ৩ নম্বর আসামী মাহমুদা বেগমকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।পরে গ্রেফতার কিছু আসামিদেরকে থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরের গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে আদালতে তোলা হলে আসামীর পক্ষের আইনজীবী ও বাদী পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে, আসামিদের জামির নামঞ্জুর করে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ।
এই ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও তার পরিবার, মঙ্গলবার বিকেলে আব্দুলাপুর এলাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীরা উল্লেখ করেন, স্থানীয় একটি চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু চক্র এলাকার নিরীহ লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে আ’লীগের দোসর সাইফুল ইসলাম ও দিদার। এরা বিগত সরকারের সময় এসব কাজ করে বেড়াতো। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হলেও তাদের চাঁদাবাজি, জমি দখল থেমে থাকেনি। ২১ নভেম্বর তারা আইয়ুব খানের ভাড়া দেয়া স’মিলে আক্রমণ করে। স’মিলের মালিক আওলাদ, শ্রমিক শাকিল, সাদা শেখ, খালেদকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। লুটপাটের পর স’মিলে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়।
এ ঘটনায় ২৪ নভেম্বর সাইফুল, দিদার সহ ১৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
এবিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, মামলা হওয়ার পর আমরা ১ নং আসামী সাইফুল ও ৩ নং আসামীকে গত রবিবার গ্রেফতার করেছি আজকে শুক্রবার ৬ নাম্বার আসামি পিয়ার বাক্সকে গ্রেফতার করেছে। মাহমুদাকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply