লাইফস্টাইল: গ্রীষ্মের দাবদাহ আর বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টির পর বাংলার প্রকৃতিতে এসেছে শরৎ। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, আর মাঠভর্তি কাশফুলের শুভ্রতায় মানুষ সাজবে নতুন সাজে। প্রকৃতিতে শুভ্রতার প্রতীক হয়ে শরতের আগমন। এই শুভ্রতা ছড়িয়ে পরে মনে, পোশাকে ও সাজে। শুভ্রতা মানেই স্নিগ্ধতা। শুভ্র সাজে শুরু হোক শরতের দিনগুলো।
শরতের শুভ্রতায় নিজেকে ফুটিয়ে তুলুন:
ঋতুভেদে সাজগোজের পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন নির্ভর করে নিজস্ব রুচির ও চিন্তার ওপর। যারা একটু বেশি রঙিনভাবে সাজতে চান তারা পোশাকের রংয়ের বিপরীত রংও বেছে নিতে পারেন। এটি চোখের কাজল, শ্যাডো, লিপস্টিক সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কপালে টিপ দিতে পারেন। এরপর হালকা মেকাপ করে ডার্ক ব্রাউন আইব্রো শ্যাডো দিয়ে আইব্রো শেপ করে নিন। স্কিন কালার লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট ভালো করে একে নিন। এবার ঠোঁটে স্কিন কালার লিপস্টিক দিন। সবশেষে সামান্য সিমারি গোল্ডেন লিপগ্লস দিন। সামনের দিকে একপাশ সিঁথি করে চুল হালকা পাফ করে নিন। এবার পেছনের চুলগুলো চিকন বেণী করে পেঁচিয়ে খোঁপা করে নিন।
কেমন সাজ হবে:
শরতের সাজে শাড়িই বেশ ভালো মানায়। একরঙা সাদা বা অফ-হোয়াইট শাড়ি বেছে নিতে পারেন। ব্লাউজটা হওয়া চাই একটু গর্জিয়াস। শাড়ির সৌন্দর্যটা পুরোপুরি নির্ভর করছে ব্লাউজের কাটিং এবং ডিজাইনের ওপর। ভারি কাজের একটি ব্লাউজ শাড়িকে আরও বেশি গর্জিয়াস করে তোলে। তবে আপনার শাড়ি যদি গর্জিয়াস হয় তাহলে সিম্পল ব্লাউজ পরলে বেশি ভালো লাগবে। চাইলে স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে পারেন। মানাবে ভালো।
হালকা গয়না:
যেহেতু সাজটা স্নিগ্ধ তাই জমকালো গয়না না পরাই ভালো। কানে হালকা একটা দুল পরে নিন। তবে সাদা বা সিলভার রঙের দুল বেছে নিতে পারেন। আর হাতে ভারি একটা ব্রেসলেট পরুন। শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের গয়না আপনাকে আরো বেশি স্নিগ্ধ করে তুলবে।
কেমন হবে জুতা ও ব্যাগ?
শাড়ির সঙ্গে হাই হিল পরলে দেখতে ভালো লাগবে। তবে সেমি হাইহিলও পরা যায়। আর অবশ্যই একটি ক্লচ ব্যাগ। সবশেষে দেওয়া চাই মিষ্টি ঘ্রাণের সুগন্ধি।
Leave a Reply