ডেস্ক নিউজ: ছাত্র আন্দোলনের সময় সহমত পোষণ করে বিক্ষোভ করায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজা পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। আজ মঙ্গলবার এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ করে আমিরাতে দণ্ড পাওয়া ওই ৫৭ বাংলাদেশির সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা আইনজীবী ওলোরা আফরিন।
ওলোরা আফরিন বলেন, ‘আমরা আগেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। আজকে কোর্টে একই আদেশে তাদের সবাইকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজেই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই উনাদেরকে বের করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে আমরা আশা করছি। হয়তো দু-একদিন কম-বেশি হতে পারে।’
কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দিতে দেশটির আদালত ইতোমধ্যেই আদেশ জারি করেছে বলেও জানান আইনজীবী।
৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমতা করে দেওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে চিঠি লিখেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আমিরাতের প্রেসিডেন্টকেড. ইউনূস বলেন, ‘সাম্প্রতিক ছাত্র-গণবিপ্লবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী ৫৭ বাংলাদেশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের ক্ষমা করার আপনার উদার সিদ্ধান্তের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের টেলিফোন কথোপকথনের পর এই ক্ষমাশীলতার কাজটি শুধু সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের উদাহরণই দেয় না বরং আমাদের দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের স্থায়ী বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বাহক হিসেবে কাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাজা বাতিল করার জন্য আপনার উদার সিদ্ধান্ত বিশেষ করে জড়িতদের পরিবার এবং বাংলাদেশের মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বসবাসরত আমাদের দেশের নাগরিকরা স্বস্তি পেয়েছে। আমরা সত্যিই, আপনার সহানুভূতি গভীরভাবে অনুভব করেছি। আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান প্রকাশ করছি। আমাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে প্রস্থান করার আগে তাদের স্বাগতিক দেশগুলির স্থানীয় আইন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ও শিক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি করছি।’
চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার সদয় সিদ্ধান্তের জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যা আমাদের জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে এবং আমাদের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের জন্য আপনার সুস্বাস্থ্য, সুখ, দীর্ঘ জীবন এবং অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি।’
Leave a Reply