মাদারীপুর: পরিবারের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। দুই বেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারত না তার পরিবারের সদস্যরা। অভাবের কারণে আবেদ আলী ৫-৬ বছর বয়সেই ঢাকা চলে যান। এরপরে আবেদ কুলির কাজ করেছেন, রিকশা চালানোসহ শ্রমিকের কাজ করেছেন। পরবর্তীতে চালক হিসেবে চাকরি করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতেন। আবেদ আলীর প্রশ্নফাঁস ও অবৈধ সম্পদের কথা শুনে তারা অবাক।
আবেদ আলীর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হলেও ভাগ্য ফেরেনি ভাইদের। এমনকি ভাইদের কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেন না তিনি। বড় ভাই জাবেদ আলী এখনো দিনমজুরের কাজ করেন। এই কাজ করে ধারদেনা করে এক ছেলেকে ইতালি পাঠিয়েছেন। ছোট ভাই ছাবেদ আলী অটোরিকশার চালক। মোঝ ভাই আবেদ আলীর প্রশ্নফাঁসের ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে গেলেন দুই ভাই ও তাদের পরিবার।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা আবেদ আলীকে নিয়ে খোঁজ-খবর শুরু করেছি বিভিন্ন দপ্তরে। তার বৈধ কোনো সম্পদ আছে কি না এবং সেগুলোর সঠিকভাবে ক্রয় ও কর দেওয়া হয়েছে কি না, তার খবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আদালত থেকে যদি তার বিষয়ে কোনো আদেশ আসে, তাহলে আমরা তা নিয়ম অনুযায়ী বাস্তবায়ন করব।’
Leave a Reply