1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ন

জেসেফ-হারিস পরিকল্পিতভাবে আমাকে ক্যাসিনোকান্ডে ফাঁসিয়েছে: সেলিম প্রধান

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

আদালত প্রতিবেদক: চাঁদা টাকা না দেয়ায় সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাই জেসেফ-হারিস র‍্যাব  দিয়ে ক্যাসিনোকান্ডে ঘটনায় ফাঁসিয়েছে বলে দাবি করেছেন অনলাইন ক্যাসিনো হোতা সেলিম প্রধান।

দুপুরে ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করেন তিনি। এতে আল জাজিরায় প্রচারিত ডকুমেন্টারি উদাহরণ তুলে ধরে সেলিম প্রধান বলেন, ওই ডুকমেন্টারিতে হারিস স্পষ্ট করে বলেছে র‍্যাবকে ব্যাবহার করেই সেদিন প্লেন থেকে তাকে নামিয়ে আনে। এতে র‍্যাবই সব কিছু করে। আমাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোর্টে হাজির না করে তাদের মন মতো লোক বসিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়। এরপর ৪২ ঘন্টারও বেশী সময় আমাকে আটকে রেখে ক্যাসিনোসহ চারটি মামলা দেয়া হয়। সেনা প্রধান আজিজ আহমেদের ভাইদের চাহিদা মতো টাকা ও গাড়ি না দেয়ায় সুপরিকল্পিতভাবে এসব মামলা দেয় র‍্যাব।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন : https://www.facebook.com/Burigangatv/videos/1478941329389613/
নিজেকে একজন সিকিউরিটি প্রিন্টিংস ব্যবসায়ী দাবি করে ডন সেলিম বলেন, থাইল্যান্ড থেকে ফিরে দেশে একটি ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন তিনি। বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই প্রিন্টিং এর কাজের বিল গ্রহণ করতে নানা সময়ে একাধিক একাউন্ট খোলা হয়। কোন ক্যাসিনো জুয়ার জন্য নয় ব্যাবসায়িক প্রয়োজনেই এসব একাউন্ট খোলা হয়। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ও জিডি নেই উল্লেখবকরে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, আমি যদি অনলাইন জুয়ার হোতাই হতাম তাহলে আমার কোটি কোটি টাকা এখন কোথায় গেলে। এসব সম্পূর্ণ মিথা ও ভিত্তিহীন। আমি কোন অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা নই। কোন টাকার উৎস না পেয়েই শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১২লাখ টাকার অভিযোগে মামলা দেয় দুদক। সব মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জবানবন্দিতে কোথাও আমার নাম আসেনি।
প্রধানমন্ত্রী কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে সেলিম প্রধান আরও বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়ায় আমার বাসায় হামলা করা হয়েছে। তারা হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি বাসা লক্ষ্য করে মুহুর্মহু গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। পরিবার ও সন্তানদের নিরাপত্তা চেয়ে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান ক্যাসিনোকান্ডের হোতাখ্যাত সেলিম প্রধান।

উল্লখ্য অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত ৫৭ কোটিরও বেশি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ৩০ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ আদালত-৮-এর বিচারক বদিউল আলম মানি লন্ডারিং আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদক আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা এবং অনাদায়ে আরেক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews