আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে নির্বাচনের এই ধাপে ৮৮টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট হওয়ার কথা ছিল ৮৯ আসনে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল কেন্দ্রের বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত রাখা হয়। তৃতীয় দফায় সেখানে ভোট নেয়া হবে।
এদিকে, প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। প্রথম ধাপে ভোট পড়েছিল ৬৩ শতাংশ, কিন্তু শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাস্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ছিল ৬১ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও দ্বিতীয় ধাপে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এতেও খুব একটা কাজ হয়নি।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লড়াই করেছেন ভারতের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, বিজেপির তেজস্বী সূর্য, হেমা মালিনী এবং অরুণ গোভিল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও শশী থারুর, কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশ এবং কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী অন্যতম।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ১ হাজার ২০০ এরও বেশি প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিকেল ৫টায় ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে মণিপুর, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড করা হলেও উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২.৬, ৫৩ এবং ৫৩.৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, শুক্রবার কেরালার ২০টি আসন, কর্ণাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪টি, রাজস্থানে ১৩টি, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে 8টি, মধ্যপ্রদেশে ৭টি, আসাম ও বিহারে ৫টি, ছত্তিশগড় এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩টি এবং মণিপুর, ত্রিপুরা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতটি ধাপের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণের মধ্যদিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। আর শেষ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন।
Leave a Reply