কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : ঢাকার কেরানীগঞ্জের আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল আলী হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি ঠান্ডু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারক সৈয়দ মিনহাজুম মুনিরা এ আদেশ দেন।
আদেশে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সাজা ও ১০ হজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড এবং ৩২৬ ধারায় আসামি ঠান্ডু মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এল মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে।
মামলার রায়ে খুশি সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গুলজার হোসেন বাচ্চু তবে বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান জসি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
নিহতের স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান,পরিবারের সবাই আশায় ছিলাম ঠান্ডুর ফাঁসি হবে, কিন্তু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। যে কোন সময় সে বের হয়ে আমাদের মেরে ফেলবে। আমরা তার ফাঁসি চাই। আর সরকারের কাছে আমার দুই মেয়ের নিরাপত্তা চাই।
নিহতের মেয়ে মিতা নুর বলেন, আসামির স্ত্রী আদালতের ভেতরেই আমাদের উপর আক্রমণ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমরা বাড়িতেও নিরাপদ না। আমরা আমার বাবার খুনি ঠান্ডুর ফাঁসি চাই।
এসময় আদালতে আসামি ঠান্ডুসহ নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১৫ জুলাই রাতে মডেল থানার পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে নিহতের আপন ভাতিজা মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে ঠান্ডু মিয়া তার চাচা এবং চাচাতো বোনকে চাকু দিয়ে পেটে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে চাচার মৃত্যু হয় এবং চাচাতো বোন সেলিনা আক্তার মৌ’কে আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীর পিতার নাম ডাক্তার আব্দুল আলী। তিনি রোহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একাধিকবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করায় বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন।
Leave a Reply