ডেস্ক নিউজ: সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহ আরব আমিরাতে পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিল। গন্তব্যে পৌঁছাতে জাহাজটিকে নিরাপত্তা দিচ্ছে ইউরোপিয়ান নেভি। সেখানে পৌঁছে ২১ নাবিক জাহাজে করে নৌপথেই দেশে ফিরতে চান। বাকি ২ জন আসতে চান উড়োজাহাজে। যদিও কেএসআরএম গ্রুপ বলছে, বাংলাদেশগামী ভাড়া জাহাজ পাওয়া না গেলে সব নাবিককে বিমানে করেই ফেরত আনা হবে।
৩২ দিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরের পথে রয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটিকে এখন পাহারা দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান নেভির দুটি জাহাজ। প্রথমে ১৯ এপ্রিল জাহাজটি হামরিয়ায় পৌঁছার কথা ছিল। তবে ইইউ নেভির সঙ্গে সমন্বয় করতে কিছু বাড়তি সময়ের কারণে সেটি পৌঁছাতে লেগে যেতে পারে ২২ এপ্রিল।
এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় নাবিকদের দেশে আনার বিষয়টি। কেএসআরএম গ্রুপ জানিয়েছে, ২৩ নাবিকের মধ্যে ২ জন আসতে চান উড়োজাহাজে। বাকি ২১ জনই আব্দুল্লাহতে করেই দেশে ফিরতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে দুবাই থেকে যদি বাংলাদেশগামী পণ্য পাওয়া না যায় তাহলে সব নাবিককেই উড়োজাহাজে করে দেশে আনা হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নাবিকদের দেশে আনতে ভালো ভূমিকা রাখছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। গতকাল তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছে, নাবিকরা যদি চান তাহলে বিমানযোগে তাদের দেশে আনা হবে। এছাড়া জাহাজে সেসব নাবিকের স্থলাভিষিক্ত হবেন কারা,তা নিয়েও কাজ করছে মালিকপক্ষ।
কবির গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন,জাহাজ যদি চিটাগাং বন্দরে আসে, তাহলে ২১ নাবিকই তাতে আসতে চান। আর বাকি ২ জন বিমানে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে। তবে যেভাবেই আনা হোক না কেন, তাদের আবারও লম্বা সময়ের জন্য জাহাজে পাঠানো হবে না।
জাহান মণির পর আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর নড়েচেড়ে বসেছে কবির গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সব জাহাজকে আনা হচ্ছে নতুন নিরাপত্তা বলয়ে। ইতোমধ্যে আব্দুল্লাহকে নেয়া হয়েছে গার্ডিয়ান নামে ১টি সার্ভিলেন্স ব্যবস্থার আওতায়।
কবির গ্রুপের ডিএমডি মো. করিম উদ্দীন বলেন,যেদিকে সুবিধা পাওয়া যাবে, সেদিকেই যেতে হবে। আমরা নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। সেটা আরও কঠোর করা হবে।
উল্লেখ্য, কবির গ্রুপের সমুদ্রগামী জাহাজ রয়েছে ২৩টি। আর বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা প্রায় ১০০।
Leave a Reply