1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সারজিস আলম কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন সভাপতি লিটন সম্পাদক মামুন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে দুই ফিলিস্তিনি নিহত সাত টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে বিটিআরসি চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেরানীগঞ্জে অটোরিকশা চালকের ক্ষত বিক্ষত যুবকের লাশ উদ্ধার কেরানীগঞ্জে বিষ্ফোরণের পর ভবন হেলে পরার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন কেরানীগঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, হেলে পড়েছে ছয়তলা ভবন না ফেরার দেশে চলে গেলেন কবি নজরুলের নাতি বাবুল কাজী দেশে দায়িত্বশীল সাংবাদিকের অভাব বাড়ছে: বগুড়ায় বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ

আগামীতে যে সকল জেলা বিলীন হতে পারে সমুদ্রে

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

ডেস্ক নিউজ: আগামী ১০০ বছরের মধ্যে যশোর থেকে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর ও চাঁদপুর থেকে ফেনী- এসব অঞ্চলের দক্ষিণাংশ সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে বলে মনে করেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন-বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত। তার আশঙ্কা-এ পরিবর্তন ৫০ বছরের মধ্যেও হয়ে যেতে পারে। এমনকি ঢাকার চারপাশের জমিও লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে।

‘উপকূলের জীবন ও জীবিকা: সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত এসব কথা বলেন। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংলাপের আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।

সংলাপে জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন আইনুন নিশাত। ১৯৫টি দেশ একমত হওয়ার পর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইপিসিসি।

রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব-এই সারির মধ্যাঞ্চল লবণাক্ত হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ঢাকা শহর খুব উঁচু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ২৫ ফুট। ঢাকা শহরের চারপাশ লবণাক্ত হয়ে যাবে। কামরাঙ্গীরচর বা জিঞ্জিরার উচ্চতা পাঁচ থেকে ছয় ফুট। এসব এলাকা পানির তলায় চলে যেতে পারে।

লবণাক্ততা একটি গুরুতর সমস্যা উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সম্মতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে লবণাক্ততা সমস্যার শুরু। উজান থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে লবণাক্ততা বাড়া শুরু হয়েছে।

অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, নদী পানির সঙ্গে পলিমাটিও নিয়ে আসে। সরকার নদী খননের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। এসব টাকা কোনো কাজে আসবে না। কারণ, খনন করার পর আবার পলি এসে দু-এক বছরের মধ্যে তা ভরাট হয়ে যায়।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী এবং বেসরকারি সংস্থা ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ফারুক।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও রোমান ক্যাথলিক চার্চ ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজ। এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ধরার সহ-আহ্বায়ক শারমীন মুরশিদ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা ও ধরার সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী।

ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন ধরার সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার উপকূলীয় অঞ্চলের ভুক্তভোগীরাও এ সময় কথা বলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন খুলনার দাকোপ উপজেলার ঢাংমারীর ইস্রাফিল বয়াতী, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মুহাম্মদ আল-ইমরান, বরগুনার তালতলীর আরিফুর রহমান প্রমুখ।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews