ডেস্ক নিউজ: দেশের প্রায় ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ বয়স হলেও এখনো বিয়ে করেননি। আর ২১ দশমিক ৭ শতাংশ নারী প্রাপ্তবয়স্ক হলেও এখনো অবিবাহিত রয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সদরদপ্তরে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩’ এর প্রকাশিত ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
যদিও গত পাঁচ বছরের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিলো ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলছেন, এরা মূলত পড়ালেখা করছে কিংবা বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিয়ে করার মতো স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেনি। এছাড়া কিছু মানুষ হয়তো স্বেচ্ছায় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন কারণে। তবে যারা বিয়ে করেনি তারা আসলে মূলত শিক্ষার্থী বা কর্মজীবনে ঢোকার অপেক্ষায় আছে।
এই জরিপেই উঠে এসেছে যে দেশের ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণীর বিয়ে হয়েছে বিয়ের জন্য নূন্যতম নির্ধারিত বয়স আঠার হওয়ার আগেই এবং জরিপ পরিচালনার সময় দেশের মোট গর্ভবতী নারীর এক চতুর্থাংশই ছিলো ১৫-১৯ বছরের মধ্যে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২১ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারীর বিয়ে হয়নি। এ সংখ্যা ২০১৯ সালে ছিলো ২৫ দশমিক ১। এছাড়া দেশে পুরুষদের বিয়ের গড় বয়স ২৫ বছর ৪ মাস আর নারীদের ১৮ দশমিক ৮ মাস। অন্যদিকে প্রতি হাজারে তালাকের সংখ্যা ১ দশমিক ১ যা ২০২২ সালে ছিলো ১ দশমিক ৪।
ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলেন, মূলত করোনা মহামারির সময়ে স্কুল বন্ধ থাকা, সামাজিক নিরাপত্তার ঘাটতি এবং মেয়েদের জন্য চাকুরির অনিশ্চয়তার কারণে অনেক অভিভাবক অল্পবয়সী মেয়েদের বিয়ে দিতে উৎসাহিত হয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে। এছাড়া বাল্য বিয়ে নিরোধে যে সব কমিটি আছে জেলা পর্যায়ে সেগুলো ঠিক মতো কাজ করছে না। সচেতনতা কর্মসূচিগুলোও আর আগের মতো নেই। আমি নিজেও কয়েকটি জেলায় গিয়ে এমন চিত্র দেখেছি।
তিনি বলেন, নবজাতকের কোয়ালিটি সার্ভিস হচ্ছে না। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ইনফেকশনের মতো সমস্যায় অনেক প্রাণ হারাচ্ছে। আবার ৪০ শতাংশ ডেলিভারি বাড়িতে হচ্ছে। সব মিলিয়েই শিশু মৃত্যু হার বেড়েছে। অন্য দিকে এবারের রিপোর্ট অনুযায়ী নারীর প্রজনন হার সামান্য কমেছে তবে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে সি-সেকশন বা সিজারের প্রবণতা আরও বেড়েছে। এর পাশাপাশি দেশে বয়স্ক মানুষ অর্থাৎ ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা বেড়েছে।
Leave a Reply