1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

তনয়ার লাশ মর্গে থাকতেই জামিন পেল আসামিরা

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : লাশ যখন ডোমঘরে (মর্গে) আসামিরা তখন জামিন নিয়ে বেড়িয়ে গেছেন। ঢাকার কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা হাসপাতালে এপেন্ডিসাইডের অপারেশন করাতে এসে ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়া সোনারগাঁ পানাম লেকসিটি আদর্শ বিদ্যানিকেতন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিয়া জাহান তনয়ার(১২) মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে মর্গের কাজ শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার আগেই জামিন পেয়েছে ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিরা।

বুধবার (২০ মার্চ) সকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক (মাশফিকুর রহমানের) নিজ আদালতে অভিযুক্ত পাঁচজনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন মঞ্জুর করেন। অপরদিকে বিকেল সাড়ে তিনটায় আত্মীয়দের কাছে তনয়ার লাশ হস্তান্তর করা হয়। জানা গেছে, মৃত্যুর ঘটনায় শিশুটির পিতা মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে বসুন্ধরা আদ—দ্বীন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার শামসুদ্দিন আহমেদ, এনেস্তসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ তাসফিয়া মাহমুদ, ডাঃ আজমেরী আলিম, ডাঃ নিহাল মোঃ ফাতিন ও প্রতিষ্ঠানটি ম্যানেজার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ এজারভুক্ত আসামিদের আটক করে বুধবার সকালে রিমান্ড চেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে।

পরবর্তীতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাশফিকুর রহমানের আদালত অভিযুক্ত পাঁচজনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন মঞ্জুর করে। পাশাপাশি ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন।

 আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করাতে গিয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

আসামিদের জামিনের ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করে মৃতের পিতা মনিরুজ্জামান জানান,আমি মেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আসামিদের আজকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এ বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে কিছুই জানায়নি। বিষয়টি আমার জানা থাকলে আমি ন্যায় বিচার পেতে আইনজীবী নিয়োগ দিতাম। তদন্ত কর্মকর্তার আমাকে জানানো উচিত ছিল। কেউ কিছুই জানায়নি। আদালত জামিন দিয়েছে এ বিষয়ে আমার কোন কিছু বলার নেই। তবে ন্যায়বিচার পেতে আমি এখন কি করবো সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।

বাদীর অভিযোগের বিষয়টি জানতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews