ডেস্ক নিউজ: দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করার জেরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ সময় রানার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে শাহরিয়ার জামান মাহিন ছিল তার সঙ্গে।
গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এই দণ্ডাদেশ দেয়।
শাহরিয়ার জামান মাহিন জানায়, বাবাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার পর ইউএনও এসিল্যান্ডকে বলেন, ‘রানার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা আছে। ওর মোবাইল দুটো নিয়ে নাও। পরে ইউএনও স্যারের সিকিউরিটি জোড় করে বাবার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং মোবাইলের লক খোলার জন্য বাবার কাছে কোড নম্বর চায়। কিন্তু বাবা কোড নম্বর না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দেওয়া হয়। বর্তমানে শফিউজ্জামান রানার মোবাইলটি ইউএনও’র কাছে রয়েছে। ’
এই ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) শিহাবুল আরিফের মোবাইলে ফোন করলে তিনি নির্বাচনের ডিউটিতে থাকায় কথা বলতে চাননি। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ওই দিন রানা তার ছেলে শাহরিয়ার জাহান মাহিনকে (১৫) সঙ্গে নিয়ে এডিপি প্রকল্পের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ইউএনও কার্যালয়ে আবেদন জমা দেন। আবেদনটি কার্যালয়ের কর্মচারী গোপনীয় সহকারী (সিএ) শীলার কাছে দিয়ে রিসিভড কপি চান রানা। শীলা তাকে অপেক্ষা করতে বলেন। রানা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আবার শীলার কাছে রিসিভড কপি চান। তখন শীলা বলেন, ‘ইউএনওকে ছাড়া রিসিভড কপি দেওয়া যাবে না।’ পরে রানা জেলা প্রশাসককে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। এতে ইউএনও আরও ক্ষিপ্ত হন। এ সময় ইউএনও রানাকে ভুয়া সাংবাদিক এবং তার ছেলে মাহিনকে ‘বাপের মতো চোর সাংবাদিক হবি’ বলে উক্তি করেন।
একপর্যায়ে নকলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউএনও এবং সিএ শীলার সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে রানাকে গ্রেপ্তার করে। পরে নকলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফ ওই কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রানাকে ছয় মাসের কার
Leave a Reply